গত ২৮শে আগষ্ট মঙ্গলবার , সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের কলকাতাসহ হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া ও দুই মেদিনীপুর জেলায় মৃদু ভূমিকম্প দেখা দেয়৷
এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল হুগলিতে গোঘাটের কাছাকাছি৷ রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫৷ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ১০ কিলোমিটার নীচে৷ এটা মাঝারি ধরণের ভূমিকম্প৷ এতে মাটি কেঁপে ওঠা ছাড়া বড় কিছু একটা হয় না৷ তবে হুগলির খানাকুলের কাছে কয়েকটি মাটির বাড়ি পড়ে গেছে৷ অন্যত্র কিছু কিছু বাড়ীর দেওয়ালে চিড় ধরেছে৷ এই এলাকায়, মাটির নীচে, রয়েছে ‘ইয়েসিন হিঞ্জ’৷ ভূত্বকের এই ফাটল বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলার নীচ দিয়ে ময়মনসিং পর্যন্ত বিস্তৃত৷ এই ফাটলে ৬.৮ মাত্রার পর্যন্ত ভূমিকম্প হতে পারে৷
এর আগে ১৯৬৪ সালে পিংলা ফল্টে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়৷ পরে ২০০৫ সালে ও ২০১০ সালে যথাক্রমে ৪ ও ৩.৫ মাত্রায় ভূমিকম্প হয়৷ ২০১৩ সালের ১লা জুন ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভূমিকম্প (৩.৬) হয়েছিল৷ চলতি বছরে ২৬শে এপ্রিল দঃ দিনাজপুরে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়৷ এছাড়া জলপাইগুড়ি , দার্জিলিং, কোচবিহারে ৩ মাত্রায় কয়েকবার ভূমিকম্প কলহয়েছে৷
তবুও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গকে এ ব্যাপারে নিরাপদ বলা যাবে না৷ খড়গপুর আইটির ভূবিজ্ঞানীদের মতে দক্ষিণবঙ্গে ৬.৮ মাত্রায় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ কলকাতার মাটির নীচে কাদার স্তর থাকায় এখানে ভূমিকম্প আরও তীব্র হতে পারে৷