দলীয় রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত ১৩৯টি কর্ষক সংঘটনের উদ্যোগে সারা দেশে ১০দিনব্যাপী কর্ষক  আন্দোলন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ১লা জুন সারা দেশের  ১৩৯টি কর্ষক  সংঘটনের  সমন্বয়ে তৈরী রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘ সারা দেশব্যাপী কর্ষক আন্দোলনের  ডাক দেয়৷ ১০দিন ব্যাপী কর্ষক আন্দোলনে তাঁদের মুখ্য দাবী ছিল--- কৃষি উৎপাদিত দ্রব্যের মূলবৃদ্ধি, ফসল উৎপাদন  হওয়ার  পরই ক্ষুদ্র চাষীরা যাতে  তাদের  পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রয় করতে পারে, সব সময়েই যাতে  কর্ষকরা তাদের ফসলের সঠিক  মূল্য পায় সরকারকে তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এছাড়া ঋণ-মুকুব, সারাবছর সেচের জলের ব্যবস্থা বীজ ও সার সরবরাহ  প্রভৃতির  মাধ্যমে  কর্ষক স্বার্থের দিকে  নজর দেওয়া এ সমস্ত দাবী তো আছেই৷

রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘের আহ্বায়ক  শিব কুমার  শর্র্ম বলেন, কর্ষক আন্দোলনের ২টি ধারা৷ একটি  ধারা অরাজনৈতিক, অপরটি  রাজনৈতিক৷ রাজনৈতিক দলগুলি তাদের  বোটব্যাঙ্কের  জন্যে কর্ষকদের  ব্যবহার করে৷ কিষাণ মহাসংঘ রাজনৈতিক প্রভাব এড়িয়ে চলতে  চায় বলে তাঁদের  পক্ষ থেকে বলা হয়েছে৷ শ্রী শর্র্ম বলেন, তাঁদের আন্দোলন অরাজনৈতিক, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে ১৩৯টি কর্ষক সংস্থা৷

রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘের এবারের আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচী ছিল, কর্ষকরা তাদের ফসল শহরের মার্কেটে পাঠাবেন না৷

গত বছর মধ্যপ্রদেশের মান্দাসোরে  পুলিশের  গুলিতে ৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছিলেন৷ ৬ তারিখে কিষাণমহাসংঘ তাঁদের স্মরণে সভা করবে, ৮ই জুন অনশনে ধর্মঘট ও ১০ই জুন ভারতবন্ধের কর্মসূচীও রয়েছে৷ জানা যায়, রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘের  ডাকা আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে উত্তরপ্রদেশে, পশ্চিম রাজস্থান৷ মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র৷