২০১৪ সালে নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই নরেন্দ্র মোদি উৎফুল্ল হয়ে বলেছিলেন---‘আচ্ছে দিন আনে বালে হ্যায়’ কিন্তু কার ‘আচ্ছে দিন’ জনগণ সেদিন বুঝতে ভুল করেছিল৷ গত দশবছরে দেশে আর্থিক বৈষম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিশ্বের প্রথম সারির অর্থনীতিবিদদের মত হলো ভারতে আর্থিক বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ জমানার থেকেও বেশী৷ সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব-প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিক্স-এর একটি প্রতিষ্ঠান দাবী করে ভারতে ধন বৈষম্য পরাধীন ভারতে ব্রিটিশরাজকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে৷
এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে ওই অর্থনীতিবিদরা বলেছেন--- ভারতে এখন বুর্র্জেয়া শ্রেণীর নেতৃত্বে ধনকুবেরদের রাজ চলছে৷ ভারতে ধনিকতন্ত্র কায়েম হতে চলেছে৷ ২০২২-২৩ সালে ভারতে মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ গ্রাস করে নিয়েছে ধনকুবেররা৷ ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম---‘ভারতের আর্থিক বৈষম্য---ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজত্ব থেকেও ধনকুবেরদের রাজত্বে বৈষম্য বেশী৷’ প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়--- নীচের দিকের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ৭১ হাজার টাকা, অথচ উপরের শারির একশতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ৫৩ লক্ষ টাকা৷ ৪০ শতাংশ মানুষের গড় আয় বছরে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, সব থেকে ধনী ১০ হাজার ব্যষ্টির গড় আয় বছরে ৪৮ কোটি টাকা৷
ওই প্রতিবেদকদের বক্তব্য---২০১৪-১৫ সাল থেকে অর্থাৎ মোদি রাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাড়তে বাড়তে ২০২২-২৩শে আর্থিক বৈষম্য সর্বকালিন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে৷ বিরোধীদের অভিযোগ মোদি সরকার ধন কুবেরদের সরকার৷ তাই এই সরকারের নীতিই হলো ধনীদের আরও ধনী করে দেওয়া ও গরীবকে আরও নীচে নামিয়ে দেওয়া৷ মোদি সরকারের অপদার্থতার আরও অনেক তথ্য ধামা চাপা রয়েছে৷ যেমন গ্রামীন আয় কম হওয়ার পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ হয়নি, প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন মোদী সরকারের আর্থিক নীতি তো তার ঘনিষ্ট ধনকুবেরদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে তৈরী হয়৷ মোদী সরকারের অর্থনীতি ধনকুবেরদের স্বার্থরক্ষা করে৷ কেন্দ্রীত পুঁজিবাদী আর্থিক নীতির বিলোপ ঘটিয়ে বিকেন্দ্রীত আর্থিক পরিকল্পনার রূপায়নেই আর্থিক বৈষম্যের একটা সামঞ্জস্য রক্ষা করবে৷