দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের দিল্লী সেক্টরের সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন---বর্তমানে কুটিল দলীয় রাজনীতির মূল লক্ষ্যটা হ’ল কি করে শাসন ক্ষমতা কব্জা করা যায়৷ আজকের যুগে বৈশ্য শ্রেণীর কবলে পতিত এক ভয়ংকর অবক্ষয়জনিত পরিস্থিতিতে মানব সভ্যতা  ক্লিষ্ট৷ সব কিছু বৈশ্য শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণে৷ সারা পৃথিবীর প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণে তারাই সর্বেসর্বা, শাসককুল তাদের অঙ্গুলিহেলনে কাঠের পুতুলের মতই নিয়ন্ত্রিত৷ শাসককুল তাই ধনীশ্রেণীর কৃপালাভে ধন্য ও কৃতার্থ৷ পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি রাজনৈতিক  দলের ব’কলমে পুঁজিপতি শোষকদের  নিয়ন্ত্রণে৷ আর ওই ভোগসর্বস্ব পুঁজিপতি নর দানবদের শোষণ বিদ্যমান সারা পৃথিবীতে৷

রাজধর্ম হ’ল নীতির রাজা কিন্তু বৈশ্যযুগে রাজা (শাসন) তো ধনীর পদাশ্রিত৷ তাই এ যুগে সততা, মৈত্রী, প্রেম, নৈতিকতা হ’ল নিছক কথার কথা, মিথ্যাচারিতা, ভণ্ডামী, শোসণ, লুণ্ঠন, নির্যাতন হ’ল দানবতারই নামান্তর৷

আজ সারা পৃথিবী নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কর্পোরেট পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণে৷ সদাসর্বদা এই ভয়ঙ্কর বৈশ্যযুগে অক্ষম সরকারগুলো জনগণকে মানস অর্থনৈতিক শোষণে শেষ করে দিচ্ছে৷ আর মগজ ধোলাই করে বুদ্ধিজীবীদের বিপথগামী করে চলেছে৷ ফলে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী অক্ষম বিক্ষুব্ধ শূদ্রে পরিণত হচ্ছে৷

তাই বলা যায় বিশ্বের প্রতিটি দেশের হতভাগ্য মানুষজন চরমভাবে নির্যাতীত ও শোষিত, যতই গণতন্ত্র আর তথাকথিত জড়বাদী কমিউনিজমের ধবজা ওড়ানো হোক না কেন৷ সেই শোষকশ্রেণীর অঙ্গুলিহেলনেই তারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ আর শাসকগণ হতভাগ্যদের নানাভাবে শোষণ করে নিজেদের ও ওই শোষকদের উদরপূর্ত্তি ঘটাচ্ছে৷

আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন---আজ সারা পৃথিবী চরমতম সংকটের মধ্যে অবস্থান করছে৷ অধিকাংশ মানুষ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান থেকে বঞ্চিত৷ তাদের মুক্তির পথের দর্শন প্রাউট (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব)৷ মানব সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে রক্ষার জন্য নিপীড়িত শোষিত ও অতাাচারিত তরুণ-তরুণীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রাউটের পতাকাতলে  সমবেত হয়ে সমাজ আন্দোলনে ব্রতী হতেই হবে৷ শোষণ মুক্তির আন্দোলনই একমাত্র মুক্তির পথ৷ কারণPeace is the result of fight, peace lovers of he universe must not keep themselves away of fight. অর্থাৎ শান্তি হ’ল সংগ্রামের পরিণতি৷ তাই বিশ্বের শান্তিকামীদের অবশ্যই সংগ্রামবিমুখ হলে চলবে না৷ তাই তো প্রাউটিষ্টরা শ্লোগান দেন---‘ধনতন্ত্র ভাতে মারে আর আঁতে মারে কমিউনিষ্ঠ৷ তাই তো মোরা প্রাউটিষ্ট৷ প্রাউটের পতাকাতলে সমবেত হয়ে বাঁচার লড়াই করার সময় উপস্থিত৷’

আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন--- সমাজকে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে হলে বিশ্বের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নীতিবাদী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়  ‘‘মানুষের উন্নত শুভবুদ্ধিই সকল মানবীয় সমস্যার একমাত্র সমাধান৷ তাই প্রাউটিষ্টদের আহ্বান---বিশ্বের নীতিবাদীরা এক হও৷