প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য দেশকে বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করা৷ আপাতত ভারত ৫লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে এলো বলে প্রধানমন্ত্রীর পারিসদবর্গের প্রচার তুঙ্গে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই ঘোষনা করেছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা এখনই সম্ভব নয়৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনে দারিদ্রতায়, ক্ষুধাসূচকে প্রতিবেশী দেশগুলির থেকেও ভারতের অবস্থা খারাপ৷ হাত উপুড় করে ধনকুবেরদের ঋণ মুকুব করে চলেছে সরকার৷ এদিকে দেশবাসীর ঘাড়ে ঋণের বোঝা৷ যা এই আর্থিক বছরের শেষে ১৮০ কোটি লক্ষ টাকা পার হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান অর্থদপ্তরের৷ যা মোদি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় ঋণ ছিল ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা৷
আগামী অর্থবর্ষের বাজেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে৷ আয় বাড়ানোর পথ নিয়ে সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ৷ আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে সরকারের কাছে আয় বাড়ানোর সহজ পথ দুটি ---এক ভর্তুকি ছাটাই, দুই কর বৃদ্ধি, দুটিক্ষেত্রেই কোপ মধ্যবিত্তের ঘাড়ে পড়বে৷ এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের অবস্থা কাহিল৷ তারপর বাড়তি কর ও ঋণের বোঝা চাপলে মধ্যবিত্তের দুর্র্ভেগ আরও বাড়বে৷ সরকার যে কর আদায় করে তার সিংহভাগটাই মধ্যবিত্তের পকেট থেকে আসে৷ তাই বাড়তি করের বোঝাটাও মধ্যবিত্তের ঘাড় চাপবে৷
আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন---মধ্যবিত্তের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপিয়ে ধনকুবেরদের ঋণ মুকুবের নাম---‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’৷ শ্রী বিশ্বাস বলেন---প্রাউটের পথে অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য,ভৌগোলিক অবস্থান ও ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রভৃতি বিচার করে অঞ্চল ভিত্তিক আর্থিক পরিকল্পনা রূপায়ন করতে হবে৷ প্রত্যেকটি অঞ্চলকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গড়ে তুলতে হবে৷
যার মূল লক্ষ্য প্রতিটি অঞ্চলের স্থানীয় মানুষের সার্বিক কর্মসংস্থান ও প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দেওয়া৷ তবেই সবকা সাথ সবকা বিকাশ সম্ভব৷
১০০ শতাংশ কর্ম সংস্থানের জন্যে ব্লকে ব্লকে কৃষিভিত্তিক ও কৃষি সহায়ক শিল্প গড়ে তুলতে হবে৷ শ্রীবিশ্বাস আরও বলেন--- ভারতবর্ষ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ কোন আইন বা কোন একটি ভাষা চাপিয়ে ভারতের সংহতি রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ একমাত্র আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতিকে সম মর্যাদা দিয়েই দেশের সংহতি রক্ষা সম্ভব ৷