এক দেশ এক ভোট স্বৈরাচারী পদক্ষেপ বিরোধী বাধায় পিছু হটলো সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারত কোন একটি দেশ নয়, ভারত নানা ভাষা কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির নানা জনগোষ্ঠীর  একটি যুক্ত রাষ্ট্র৷ তাই বলা যায় ভারত কোন একটি বৃহৎ গাছ নয়৷ ভারত নানা গাছের সমাহারে একটি বাগান৷ প্রতিটি গাছের সতেজতাই বাগানের সৌন্দর্য৷ ঠিক তেমনি ভারতবর্ষের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সম অধিকার অর্জনের মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষের যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো সুদৃঢ় হবে৷ সেখানে একভাষা, এক দেশ এক নির্বাচনের প্রচেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে৷ যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংহতি দুর্বল করতে পারে৷

জোর পূর্বক উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে গিয়ে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে৷ আবার, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দেশ সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্র রুশ প্রভাবিত করতে গিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে গেছে জন্ম নিয়েছে একাধিক রাষ্ট্র৷ তাই ভারতীয় রাষ্ট্র নেতাদের চোখের সামনে এই দৃষ্টান্ত রেখে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- দেশের সরকারগুলো পবিত্র সংবিধান নিয়ে ছেলে খেলা করছে৷ ৭৪ বছরে ১২৮ বার সংবিধান সংশোধন হয়ে গেছে৷ আরও একবার সংবিধান সংশোধন করার আগে সরকারের ভেবে দেখা উচিত কার স্বার্থে এই সংবিধান সংশোধন৷ এতে জনগণের  কতটা উপকার হবে!

দেশের একটি উপধর্মীয় সংঘটনের লক্ষই এক দেশ, এক এক ভাষা, এক নির্বাচন৷ কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল সেই লক্ষ্যেই ১২৯তম সংবিধান সংশোধন আনতে চাইছে৷ বিরোধীদের অভিযোগ এই বিল বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে এক দলের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের জমি তৈরী করবে৷ বিরোধীদের আরও অভিযোগ এই বিল সংবিধানের ভিত্তিভূমি নষ্ট করবে,  যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল করবে, আঞ্চলিক দলগুলিকে মাথা তুলতে দেবে না৷ এক কথায় এই বিল গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ৷

গত ১৭ই নভেম্বর লোকসভায় বিল পাশে ভোট হলে বিলের পক্ষে ২৬৩ ও বিপক্ষে ১৯৮ টি ভোট পড়ে৷ কিন্তু  এই বিল পাশ করাতে গেলে প্রয়োজন দুই তৃতীয়াংশ সংসদের সমর্থন৷ এই মুহূর্তে শাসক দল এন.ডি.এ কাঙ্খিত সংসদ সংখ্যার  ধারে কাছেও নেই৷ তাই আপাতত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠিয়েছে৷