বঙ্গভোটে বিপর্যয়ের পর কি মোদি সরকার এন.আর.সি নিয়ে পিছু হটতে চাইছে৷ অনেক ঢাঁক-ঢোল পিটিয়ে উপচে পড়া লক্ষ্মীর ঝাঁপি নিয়ে ২০০ আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ-বীজয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি বাঙালী বর্জন করেছে৷ নাগরিকত্ব সামনে আনলেও এন.আর.সির আসল লক্ষ্য বাঙলায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়ীক বিভাজন সৃষ্টি করা৷ সেই লক্ষ্যে কিছুটা সফল হলেও বঙ্গ বিজয় সম্ভব নয়৷ এটা টের পেয়েই কি.এন.আর.সির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শাসকদল!
গত ৯ই আগষ্ট সংসদে তৃণমূল এম.পি. সুনীল মণ্ডল এন.আর.সি,এন.পি.আর, সিএএ নিয়ে সরকারের অবস্থান লিখিত ভাবে জানতে চান৷ এই চিঠির জবাবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিতভাবে জানান সারাদেশে এন.আর.সি চালু নিয়ে সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ তবে এন.আর.পি হবে৷ সিএএ কার্যকর হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে৷
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতারা গলা ফুলিয়ে বলেছিল পশ্চিমবঙ্গে সিএএ, এন.আর.সি চালুর কথা৷ তবে বর্তমানে এসব নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিশেষ কোন আগ্রহ নেই৷