গ্রামের ছেলে-মেয়েদের শুধু প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যম তাদের সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি পাওয়া বা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়৷ তাছাড়া অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মানও খুবই নিম্নমানের৷ কারণ প্রাথমিক ভিত্তিটাই খুব দুর্বল৷ ফলে উঁচু শ্রেণীতে গিয়ে কিছুই বুঝতে পারে না৷ তাছাড়া বর্তমানে এন্ড্রয়েড ফোনে সবাই আসক্ত৷ যার জন্যে সুকল ছুটের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান৷ লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে গেলে তাদের খেলাধুলার দিকে মনোনিবেশ করাতে হবে৷
এস.এস এ.সি একাডেমির বিভিন্ন ক্রীড়াসূচীর মাধ্যমে আনন্দনগর ও নিকটবর্তী গ্রামের ৫ম থেকে ১০তম শ্রেণীর সব ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্যে ও তাদের নিয়মিত খেলাধুলার অনুশীলনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করিয়ে আগ্রহ বাড়ানো ও দক্ষ খেলোয়াড় তৈরী করা৷ এই লক্ষ্য রেখে নিম্নলিখিতভাবে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷
১) টীম গেম হিসেবে আনন্দনগরে ২০২১ সাল থেকে পেশাগত ফুটবল কোচিং শুরু হয়েছে৷ দুই বছরের মধ্যেই কোচিংয়ের সফলতা অর্জন শুরু হয়েছে৷ ২) শীঘ্রই আনন্দনগরে আধুনিক কবাডি খেলার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা শুরু করা হবে৷
সমীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ঃ
১) আনন্দনগরের সমস্ত আনন্দমার্গ সুকল ও সরকারী সাহায্য প্রাপ্ত সুকলের ১১-১৬ বছরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এক সমীক্ষা (ফিল্ড সার্ভে) করা হবে৷ ছেলে-মেয়েদের কার কোন স্পোর্টস ইভেন্টসের প্রতি তাদের আগ্রহ আছে নথিভুক্ত করা৷ ২) আনন্দনগর ও পাশ্ববর্তী এলাকার ছেলে-মেয়েদের ব্যষ্টিগত বিভিন্ন খেলার উপর সিলেকশন ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা৷ ৩) সিলেকশন ট্রায়ালগুলো হবে--- ক) শর্ট ডিসটেন্স রান খ) লং ডিস্টেন্স রান গ) লং জাম্প ঘ) হাইজাম্প ঙ) শটপুট চ) ডিসকাস থ্রো ছ) জেভলিন থ্রো৷
৪) বিভিন্ন ইভেন্টে সিলেকশনের পর ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার ওইসব ইভেন্টে যাতে নিয়মিত অনুশীলন করে তার দিকে লক্ষ্য রাখা হবে ও সময় সময় তাদের পরামর্শ দেওয়া হবে৷ ৫) ট্রেনিং প্রাপ্ত ওই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের ব্লক,সাবডিভিশন, জেলা, রাজ্যভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ ৬) এই এলাকার সমস্ত ছেলে-মেয়েদের খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তাদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিকগুলোর উন্নতি সাধনে সাহায্য করা হবে ৭) নিয়মিত অনুশীলনের দ্বারা তারা যখন দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি হবে তখন তাদের কাছে উপার্জনের রাস্তাও খুলে যাবে৷ তারা বিভিন্ন সংস্থায় খেলোয়াড় কোটায় চাকরির সুযোগ পাবে৷ ৮) এতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের কাছে অর্থাৎ পুরুলিয়ার মত অনুন্নত জেলায় মানুষের কাছে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির এক সুযোগ আসবে৷ ৯) উপরোক্ত খেলাধুলার ইভেন্ট ছাড়াও আনন্দমার্গ সুকলে টাইকাণ্ডু ও যোগশিক্ষার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে৷ ১০) এইভাবে খেলোয়াড় তৈরীর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো ছাড়াও বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করিয়ে ছাত্র-ছাত্রাদের এস.জি.এফ.আই (সুকল গেমস্ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) দ্বারা পরিচালিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানোর ব্যবস্থা করা হবে৷