জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের চতুর্থ দিনের শেষে ভারত ১৫টি পদক জিতেছে তার মধ্যে ৪টি সোনা, ৩টি রূপো ও ৮টি ব্রোঞ্জ৷ বুধবার ২২শে আগষ্ট জাকার্তায় ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল শুটিংয়ে সোনা জেতেন রাহি৷ এর আগে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে সোনা জেতেন ভারতের সৌরভ চৌধুরী৷ এ পর্যন্ত ভারতের হয়ে যাঁরা সোনা জিতেছেন তারা হলেন---যশপাল রানা, রনধীর সিং, জিতু রাই ও রঞ্জন সোধি৷ এবারে রাহি সর্নবত প্রথম ভারতীয় মহিলা পিস্তর শ্যুটার হিসেবে সোনা জিতলেন৷ বছর বাইশের এই শুটার মাথা ঠাণ্ডা রেখে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচটি নিজের পকেটস্থ করেন৷ আর ষোল বছরের সৌরভের জেতার খিদেটা ও কঠোর অনুশীলন তাঁকে আগামী দিনে ভাল শ্যুটার হওয়ার স্বপ্ণ দেখিয়েছে৷ আগামী দিনে হকি, টেনিস, কুস্তি, ব্যাডমিণ্টন প্রভৃতি বিভাগ থেকে পদক তুলে আনতে পারেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা৷ নানা সমস্যার মধ্যে থেকেও ভারতীয় দলের প্রতিটি প্রতিযোগী যে অদম্য মানসিকতা দেখাচ্ছেন তা আগামী প্রজন্মকে অবশ্যই প্রেরণা দেবে৷ উশুতে সন্তোষ কুমার, সূর্য ভানুপ্রতাপ সিং, নরেন্দ্র গ্রেওয়াল৷ বেশ কয়েকটি বিভাগে পদকের কাছাকাছি পৌঁছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন ভারতের কয়েকজন প্রতিযোগী৷
এদিকে পদক জয়ের পরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক মহল থেকে শুভেচ্ছা আর প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়৷ মিডিয়া পৌঁছে যায় খেলোয়াড়ের বাড়ীতে৷ তারপর ফটো তোলা, ইণ্টারভিউ আরো কত কী! কিন্তু এমন কত প্রতিভাবান খেলোয়াড় নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেন না, হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়ান এক দরজা আর এক দরজায়৷ কতজন তাদের নিরুৎসাহিতও করেন৷ অনেকে পরিবারের প্রয়োজনে মুটে-মজুর হয়ে দিনাতিপাত করেন৷ হারিয়ে যায় তার শ্যুটার, দৌড়বিদ, ফুটবলার, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ণ৷ এই দুর্ভাগাদের জন্যে দায়ী আমাদের দারিদ্র্যতা৷ তাই দারিদ্র্যতা মোচনের জন্যে সর্বাগ্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে৷ সেই পদক্ষেপের একমাত্র পথপ্রদর্শক হচ্ছে দার্শনিক, ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা সংক্ষেপে ‘প্রাউট’৷ এই তত্ত্বের বাস্তবায়নে সমাজের প্রতিটি মানুষের নূন্যতম চাহিদাগুলো সহজেি পূরণ হবে যার ফলে অচিরেই সকলের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ হবে৷ এর ফলে শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে নয় সব বিভাগেই আমরা সফলতা পাব৷ মোট কথা আজকের যুগে কর্ষক, শ্রমিক, সৈনিক, ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদ সকলকেই প্রাউটের চর্চা করে তাকে কার্যকরী করে তুলতে হবে---তাহলেই সকলের মুখে হাসি ফুটবে৷