গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় গার্লস্ প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য মিছিল রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বেরিয়ে এস এন ব্যানার্জী রোড হয়ে ধর্মতলা
হয়ে রাণী রাসমণি এ্যাভিনিউতে পৌঁছায়৷ এখানে গার্লস্ প্রাউটিষ্টের পক্ষ এক জনসভার আয়োজন করা হয়৷ এই জনসভায় সভাপতিত্বের আসন গ্রহণ করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা ও প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন ডঃ তিন্নি দত্ত৷ সভায় উদ্বোধনী ভাষণ দেন অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা৷ এরপর বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আনন্দ রূপাতিতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ কৃষ্ণপ্রভা আচার্যা, শ্রীমতী গোপা শীল, অবধূতিকা আনন্দ গুণময়া আচার্যা, সাগরিকা পাল, তনিমা বৈরাগী, নমিতা দে, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, ডঃ তিন্নি দত্ত প্রমুখ৷ তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে সারা সমাজ জুড়ে নারী নির্যাতন ও অবদমনের প্রতিবাদে ও নারীর স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে বক্তব্য রাখেন৷ সবশেষে সভাপতি অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা বলেন, নারীর যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গার্লস্ প্রাউটিষ্টের অন্যতম
প্রধান দাবী হ’ল---
সর্বক্ষেত্রে নারী নির্র্যতনকারীর বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে
হবে৷l প্রতিটি নারীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চাই৷l প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকতার কাজ শুধুমাত্র মহিলা শিক্ষকদের হাতে তুলে দিতে হবে৷l চলচ্চিত্রে,নাটকে,বিজ্ঞাপনে অনাবৃত নারীদেহ প্রদর্শনকারীকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷ l সাংসৃকতিক অবক্ষয় রুখতে বিকৃত ক্যাবারে-পপ-ডিস্কো নৃত্য, চিত্তচাঞ্চল্যকর সমস্ত রকম সঙ্গীত ও অশ্লীল পত্রিকা নিষিদ্ধ করতে হবে৷ l শিক্ষার সর্র্বেচ্চ স্তর পর্যন্ত নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক, বাধ্যতামূলক ও অধ্যাত্মভিত্তিক করতে হবে৷ l ছেলে-মেয়েদের সকলের ক্ষেত্রেই শিক্ষার সর্বস্তরে নৈতিক শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে৷l ব্লকে ব্লকে অক্ষম নারী নিবাস ও প্রসূতি পরিচর্র্যকেন্দ্র খুলতে হবে৷l নারীদের আত্মরক্ষার্থে জুডো-ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শিবির সরকারী উদ্যোগে খুলতে হবে৷l নারীদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য কৌশিকী নৃত্যের ব্যাপক প্রচলন করতে হবে৷l সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মমতের কুসংস্কার রুখতে তথা সার্বিক শোষণমুক্ত নারী সমাজ গড়তে ‘প্রাউটে’র প্রতিষ্ঠা চাই৷
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অনিতা চন্দ৷