রাজ্য সরকারকে বিব্রত করতে গিয়ে দার্জিলিং নিয়ে কেন্দ্রের এখন শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা৷ ৪ঠা অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘গোর্খাল্যাণ্ড’ বিষয়ে আলোচনার জন্যে একটি বৈঠক ডাকে৷ এই বৈঠকে রাজ্যসরকারকে না জানিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসককে ডাকা হয়৷ বৈঠকে গোর্খামুক্তি মোর্চার ক্ষমতাসীন নেতাদেরও ডাকা হয়নি৷ বৈঠক নিয়ে রাজ্যসরকার ক্ষুদ্ধ হয়৷ গোর্খাল্যাণ্ড ইস্যু নিয়ে বিজেপি বাঙলা ভাগের চক্রান্ত করছে বলে প্রতিবাদে মুখর হয় ‘আমরা বাঙালী’৷ নানা দিকের চাপে বিভ্রান্ত হয়ে ৫ই অক্টোবর আর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বৈঠক বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়৷ পরে বাতিল শব্দটি বাতিল করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্থগিত ঘোষনা করা হয়৷ পরে সেটাও সংশোধন করে জানান হয় বৈঠক হবে, তবে ভুল করে গোর্খাল্যাণ্ড লেখা হয়েছে, তা সংশোধন করে জিটিএ কথাটি লেখা হয়৷ এইভাবে ৪৮ ঘন্টায় তিনবার বিজ্ঞপ্তির বয়ান পাল্টানোয় একটা কথা পরিস্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে বিজেপির রাজ্যকমিটি ও রাষ্ট্রদোহী ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত বিমল গুরুং এর ঘনিষ্ঠ দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিষ্ঠার সঙ্গে মতবিরোধ৷ গোর্র্খল্যাণ্ড নিয়ে বিমল গুরুংকে খুশী করতে চাইছে রাজু বিষ্ঠা৷ আবার সামনে বাঙলায় বিধানসভার বোট৷ সবদিক বিবেচনা করে পা ফেলতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ তাতেই বিপত্তি ঘটছে৷