গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ র প্রতিবাদ অব্যাহত৷ গোর্খা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন অর্থাৎ ১৮ই জুলাইকে কালা দিবস চিহ্ণিত করে, ঐ দিনটিতে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় বড় আকারের বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয় ‘আমরা বাঙালী’ র তরফে৷ এদিন ‘আমরা বাঙালী’ র পক্ষ থেকে জিটিএ আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে হাসমি চক, এয়ার ভিউ সহ বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে বিধান মার্কেট অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছে সেখানে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেনউক্ত সভায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা সমাজ সেবী নীতিশ বসু, ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব মোহনলাল অধিকারী, বরেন্দ্র সাংগঠনিক সচিব খুশীরঞ্জন মণ্ডল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হারাধন ভৌমিক, জেলা সচিব বাসুদেব সাহা৷

 এছাড়াও স্পান্দনিক শিল্পী পূর্ণিমা বারুই সহ প্রমুখ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন৷ এদিকে কলকাতার শ্যামবাজারে জিটিএ আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব তথা বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট বকুল চন্দ্র রায়, উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল , সুবোধ কর, শুভজিৎ পাল, মিন্টু বিশ্বাস, প্রতিমা শীল, জয়ন্ত শীল, স্বাগতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য সুশীল জানা, সুদীপ দাসগুপ্ত, গোপাল রায়চৌধুরী প্রমুখ৷

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর আমরা ভেবেছিলাম বামফ্রন্ট সরকারের নেওয়া অসাংবিধানিক ও বিদেশি তোষণকারী ‘গোর্খা হিল কাউন্সিল’ স্বশাসিত অঞ্চলের অবসান ঘটবে, কিন্তু দুঃখের সাথে আমরা দেখেছিলাম ২০১১ সালের ১৮ই জুলাই সন্ত্রাসবাদী, খুনী, বিদেশী নেপালী বিমল গুরুং দের সঙ্গে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অসাংবিধানিক অবৈধ চুক্তি সম্পাদিত করেন, আর যে নাম ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ সংক্ষেপে জিটিএ৷ সঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের চেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে এই ‘গোর্খাল্যান্ড’ নাম রাজ্যভাগেরর দাবীদার বিদেশী নেপালী গোর্খাদের মদতকে আরো শক্তিশালী করছে৷২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে কালা দিবস হিসেবে পালন করে আসছি৷ যতদিন না এই অসাংবিধানিক অবৈধ, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিদেশী নেপালী তোষণকারী জিটিএ আইন বাতিল না করা হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে৷