পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে উঠতেই গ্রাম বাঙলা অশান্ত হয়ে উঠেছে৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে৷ বিরোধীপক্ষ নানা অছিলায় প্রতিদিনই আদালতের দারস্ত হচ্ছে৷ পুলিশ প্রতিদিনই আগ্ণেয়াস্ত্র গুলি বোমা উদ্ধার করছে৷ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে৷ বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- বাঙলায় হচ্ছেটা কি! গ্রাম দখলের রাজনীতি করতে এসে নেতাদের এই ঘৃণ্য নিকৃষ্ট আচরণ কেন? গ্রাম উন্নয়নের কোন পরিকল্পনা নেই৷ স্বার্থের বন্ধনে জর্জর নেতারা শুধু পকেট ভারি করছে৷ এই কারণেই এই লড়াই৷ জনহিতের কথা মাথাতেই নেই৷
শ্রী খাঁ দুঃখ করে বলেন ৬৫ বছর এই কদর্য রাজনীতি দেখে দেখে বাঙলার মানুষ বিরক্ত হয়ে তৃণমূল নেত্রীকে বরণ করে নেয়৷ বাঙলার মানুষ চেয়েছিল হার্র্মদমুক্ত বাঙলা, নেত্রীর স্লোগান ছিল---বদলা নয়, বদল৷ বার বছরে ভালো কিছু বদল হয়েছে৷ কিন্তু সর্বনেশে বদল হলো---যে হার্র্মদের অত্যাচার থেকে বাঙলার মানুষ মুক্তি চেয়েছিল সেই হার্র্মদরাই আজ ঝাণ্ডা বদল করে তৃণমূল হয়ে গেছে৷ রাজ্য চালাবার জন্যে ১৮০---৯০টা আসন যথেষ্ট ছিল কিন্তু নেত্রী বিরোধী শূন্য বাঙলা করতে গিয়ে সেই হার্র্মদদের দলে ঢুকিয়ে নিল৷ রাজনৈতিক নেতারা রং বদল করলেও স্বভাব বদল করে না৷ বিরোধী শূন্য বাঙলা গড়ার নেশায় মত্ত হয়ে তৃণমূল নেত্রী এই সার কথাটাই ভুলে গেছেন৷ মানুষ তৃণমূল নেতৃর কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী নয়--- হার্র্মদমুক্ত বাঙলা চেয়েছিল,কিন্তু আজ সেই হার্র্মদরা অনেকেই তৃণমূলে যুক্ত হয়ে গেছে৷ তারই বিষময় ফল ফ্যাসিষ্ট বাইরাস আক্রান্ত এই নির্বাচন৷
শ্রীখাঁ বলেন প্রাউটের মতে---রাজনৈতিক নেতারা কখনও ধনী হবে না,ভোগী হবে না, সৎ-নীতিবাদী সেবা পরায়ন হবেন নেতারা৷ এই ধরনের নেতার আজ বড়ই অভাব৷ রাজনীতির ময়দানে সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম৷ যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতার দখল নিতেই বলে৷ তবেই জনসেবক হওয়া সম্ভব৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের এ বড় লজ্জা৷ যে নেতারা একটা নির্বাচন শান্তীপূর্ণভাবে করতে পারে না, তাদের দেশ চালাবার না আছে অধিকার, না আছে কোন যোগ্যতা৷