গ্রহাণুর গতিপথ বদল ডার্টের আঘাতে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

কেনপকাভেরাল (আমেরিকা)--- আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ১০ মাসের গবেষণায় সাফল্য পেল৷ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে নিমেষে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দিল নাসার মহাকাশ যান ‘ডার্ট’৷ ধেয়ে আসা গ্রহাণুর বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার পরীক্ষা সফল হওয়ার পরে নাসার দপ্তরে খুশীর হাওয়া৷ মহাকাশবিজ্ঞান এই ঘটনা নূতন যুগের সূচনা করল৷ প্রথম চেষ্টাতেই এই ব্যাপারে সফল হয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা৷ বিজ্ঞানীদের ধারণানুযায়ী পৃথিবীতে ডাইনোসর লুপ্ত হয়েছিল গ্রহাণুর আঘাতেই৷ আবার তেমনই কোন গ্রহাণু ধেয়ে এলে ধবংস হতে পারে প্রাণীজগৎ৷ এধরণের যে কোন বিপদ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে নাসা হাতে নেয় ‘ডার্ট’ মিশন৷  পোশাকী নাম --- ডবল অ্যাষ্টেরয়েড ডাইরেকশন টেষ্ট (ডার্ট)৷ তার আওতায় গত বছরের ২৪ শে নভেম্বর ক্যার্লিফোর্নিয়া থেকে এই বিশেষ আত্মঘাতী অভিযানের জন্য ডার্ট স্পেসক্রাফটকে মহাকাশে পাঠানো হয়৷ এই সফল অভিযানের পর বিবৃতি দিয়ে নাসা জানায় মহাকাশ বিজ্ঞানে শুরু হল নূতন যুগের৷ পৃথিবীর কক্ষপথে গ্রহানু আছড়ে পড়ার বিপদ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করার যোগ্যতা অর্জন করলুম৷ মহাকাশে এমন গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে প্রায়ই ভেসে যায়৷ এমনই একটি গ্রহাণু হল ‘ডিভাইমস’৷ তার ব্যস আড়াই হাজার ফুট৷  এর গায়ে আছে ‘বুল আই’ নামে একটি পাথরও৷ তার নাম ‘ডাইমরফস’৷ তার আয়তন ৫৩০ ফুট৷ মিশরের বৃহদাকার পিরামিডের  সঙ্গে তার তুলনা চলে৷  সব মিলিয়ে  গ্রহাণুর আয়তন একটি ফুটবল মাঠের সমান৷ ডার্ট আছড়ে পড়ার সময় পৃথিবী থেকে ৭০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান ছিল গ্রহাণুটির৷ ঘন্টার সাড়ে ২২ হাজার  কিমি গতিতে থাকা যানটি গ্রহাণুর ওপর আছড়ে পড়ে৷ বিজ্ঞানীদের মতে ডার্ট আছড়ে পড়ার পর ডাইমরফস তুলনামূলকভাবে ছোট কক্ষপথে গিয়ে পড়েছে৷