হোমিওপ্যাথী ওষুধ LEXIN আবিষ্কারের কাহিনী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ঘটনাটি পড়ে একটি বিশেষ ডাক্তারের কথা মনে পড়ল যিনি LEXIN. নামের একটি হোমিওপ্যাথি ঔষধের নির্মাতা৷ ওই ডাক্তারের নাম ছিল -- ডাঃ পরেশ চন্দ্র ব্যানার্জী (ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ভাইপোর ছেলে)৷ তিনি চিত্তরঞ্জন স্টেশন সংলগ্ণ মিহিজাম হাটিয়ার পাশে বাড়ী বানিয়েছিলেন ও ঠিক তারই পাশে ছিল তাঁর CHERITABLE DISPENSERY. প্রবাদ আছে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারলেই রোগের উপসর্গ হ্রাস পেতো ( এটা সত্যিই বা মিথ্যা আমি জানি না)৷ তবে বিভিন্ন লোকমুখে শুনেছি৷ আমি নিজের চোখে তাঁকে দেখি নি৷ তবে ওনার এক বিশেষ বন্ধু ছিলেন -- আমার নিকট আত্মীয়৷ এবার আসল কথায় আসি ---

 একবার এক চক্ষুরোগী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন৷ কিন্তু তিনি সব সময় বেরোতেন না৷ তাই রাত্রে তাঁর বাড়ীর বারান্দায় ঐ রোগী আশ্রয় নিলেন৷ উনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বেরিয়েই ওই রোগীকে দেখতে পান৷

---কোথা থেকে এসেছ?

রোগী তাঁর গ্রামের নাম বললেন৷ জিজ্ঞাসা ক্রমে নাম ধাম জানালেন৷

 ডঃ--- কেন এসেছ?

রোগী: চোখে ভালো দেখতে পাই না৷

পরেশ বাবু রেগে গিয়ে বললেন : --- আকন্দ পাতার রস লাগিয়ে নাও৷

রোগী তাই করেন ও তাঁর রোগও সেরে যায়৷ কয়েক দিন পর আবার এলেন৷

ডঃ --- আবার কেন এসেছ?

 রোগী: আমার চোখ ঠিক হয়ে গেছে৷

ডঃ: কি করে ঠিক হলো?

রোগী: আকন্দ পাতার রস লাগিয়ে৷ আপনিই তো বলে ছিলেন৷

ডঃ ---চলো, ঐ গাছটা আমাকে দেখাও৷

রোগী ডাক্তার সাহেব কে গাছের কাছে নিয়ে গেল৷

গাছটাকে তিনি খুব ভালো করে দেখলেন৷

কিন্তু কিছুই বোঝে উঠতে পারলেন না৷

লোক জন ডেকে গাছটাকে তুলে ফেলার চেষ্টা করলেন৷ আশে পাশের মাটি খনন করে দেখা ঐ গাছের নীচে এক ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সাপ৷ শুরু হলো গবেষণা৷

শেষে আবিষৃকত হলো সাপের বিষ নষ্ট করার ঔষধ  LEXIN’