আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা ৷ তারপরই শুরু ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ ক্রিকেটের মাঠে অর্থাৎ ইংল্যাণ্ডে শুরু হয়ে যাবে প্রতিমুহূর্তের হারজিতের লড়াই৷ সেটি আগে থেকে আন্দাজ করা অতটা সহজ হবে না, তবে প্রতিটি দলেই এমন একজন থাকবেন যিনি এই বছরে দলের জন্য হয়ে উঠতে পারেন ‘এক্সফ্যাক্টর’৷
যাঁদের কথা এখন বলা হবে তারা বরাবরই এই খেতাব পাওয়ার মতো যোগ্য প্রদর্শন দিয়েছেন নিজের নিজের দলকে৷ এবার দেখার পালা এবছরে আসন্ন বিশ্বকাপে তারা কি করতে চলেছেন৷ এদের মধ্যে প্রথম যাঁর নাম এখন ক্রিকেট জগতে সবার মুখে মুখে তিনি আর কেউ নন আন্দ্রে রাসেল৷
রাসেল ঃ কোনওরকম ভূমিকার দরকার নেই, এই খেলোয়াড়ের জন্য৷ গত আইপিএলে একাই প্রায় টেনে নিয়ে গেছিলেন তাঁর নিজের দলকে৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা দুর্র্দন্ত ফিনিশার, ব্যাটে-বলে দক্ষ৷ রাসেল ফ্যাক্টর তাই দুবার বিশ্বকাপজয়ী দলের বড় প্রাপ্তি৷
কুশল পেরেরা ঃ শ্রীলঙ্কার এই তারকা বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে ‘মাষ্টারপিস’৷ শটও চমৎকার৷ ধারাবাহিকতা যে মারাত্মক রয়েছে, তা নয়৷ তবে দলের প্রয়োজনে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন বহুবার৷ তাই শ্রীলঙ্কার একটা অস্ত্র কুশল৷
কাগিগো রাবাডা ঃ দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা আইপিএলে চমৎকার পারফর্ম করে মন জয় করেছেন সবার৷ তাঁকে বলা হচ্ছে প্রোটিয়াসদের ‘পোটেনশিয়াল গেম চেঞ্জার৷’
ফকর জমন ঃ ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে তাঁর পারফরম্যান্স ভুলতে পারবে না ক্রিকেটপ্রেমীরা৷ পাকিস্তানের এই তারকা একা ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন৷ পাকিস্তানের ‘এক্স ফ্যাক্টর’ অবশ্যই তিনি৷ ইংল্যাণ্ডের মাটিতে সম্প্রতি পারফরম্যান্স বেশ ভাল ছিল তাঁর৷
রোজ টেলর ঃ নিউজিল্যান্ডের এই তারকার অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে পারে নিউল্যান্ডের দল৷ দ্রুত রান তাড়া করতে এই কিউই তারকার বিকল্প খুবই কম রয়েছে দলে৷ মিডল অর্র্ডরের রাজা বলতে পারেন টেলর কে ৷
জোস বাটলার ঃ ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসা তিনি৷ ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এমনিতেই মরিয়া ইংল্যাণ্ড৷ মারকুটে ব্যাটিংয়ের জেরে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার মতো ক্ষমতা রাখেন এই যুব ব্যাটসম্যান৷ দ্রুত রান করে দলের গতি বাড়ানোর একমাত্র পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে পারে জোস৷
তামিম ইকবাল ঃ বাংলাদেশের এক নম্বরের সৌভাগ্যের ব্যাটসম্যান হলেন তিনি৷ যত বার খেলায় বড় স্কোর করে ততবারই বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে৷ ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল তামিমের৷ বাংলাদেশের একমাত্র ভরসার স্থান তামিম ইকবাল৷ তিনিই বাংলাদেশের ‘এক্স ফ্যাক্টর’৷
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঃ দলে তাঁর অবদান নিয়ে কোনও কথা হবূে না৷ ভারত, পাকিস্তান প্রতিটি দলের বিরুদ্ধে খেলার ক্ষেত্রেই বার বার প্রমাণ করেছেন নিজেকে৷ তাই তিনি অষ্ট্রেলিয়া দলের ‘এক্স ফ্যাক্টর’ তিনিই৷
হার্দিক পাণ্ড্য ঃ বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম বাজি হতে চলেছেন তিনি৷ ধবংসাত্মক দুর্ধর্ষ ব্যাটিং, ধারালো বোলিংয়ের সঙ্গে পরিণত হচ্ছেন ধীরে ধীরে৷ হয়তো তিনিই হতে পারেন ভারতীয় দলের ‘এক্স ফ্যাক্টর’৷
এছাড়া আফগানিস্থানের রশিদ খানও কারোর থেকে কিছু কম নয়৷