ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যারাথন টেস্ট সিরিজ ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ

সংবাদদাতা
ক্রীড়া সংবাদদাতা
সময়

পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইংল্যাণ্ডের মিডিয়া বিরাট কোহলির ভারতকে ‘কাগুজে বাঘ’ রূপে দেখাতে চাইছে৷ আর বিরাটকে নানাভাবে সমালোচনা করতে ছাড়েনি৷ বাস দেরী করায় দুই অধিনায়কের একসঙ্গে ট্রফি নিয়ে ছবি তোলার সময়টা মিনিট পাঁচেক পিছিয়ে যায়৷ এ নিয়েও সমালোচনা করতে ছাড়েনি ব্রিটিশ মিডিয়া৷ আসলে মাঠের বাইরে থেকে যতটা পারা যায় মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটানোর কাজটা করে চলেছে ব্রিটিশ সাংবাদিক মহল৷ খেলায় হার-জিত আছেই৷ যেদিন যে দল ভাল খেলবে সে দলই জয়ের হাসি হাসবে৷ আসলে ইংল্যাণ্ড ক্রিকেট দল ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠে ভাল খেলেছে প্রায় প্রতিটি সিরিজেই৷ রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যাবে ইংল্যাণ্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছে তিনজন অধিনায়ক৷ অজিত ওয়াড়েকর ১৯৭১-এ, কপিল দেব ১৯৮৬ সালে ও ২০০৭-এ রাহুল দ্রাবিড় তিন সিরিজে ইংল্যাণ্ডকে হারিয়ে সিরিজ দখল করেছিলেন৷ ২০০২-এ সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল সিরিজ ১- ১ করেছিল৷ বর্তমান টেস্ট সিরিজের আগে ৫০ ওভারের ওয়ান ডে সিরিজ ২-১ ফলাফলে জিতে নেয় ইংল্যাণ্ড দল৷

এসবই তথ্য ঘটে যাওয়া ঘটনা৷ এখনকার ভারতীয় ক্রিকেট দল অনেক বেশী ব্যালান্সড৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতারও পরিবর্তন এসেছে৷ মিডিয়ার রক্তচক্ষুকে ভারতীয় খেলোয়াড়রা বিশেষ আমল না দিয়ে নিজেদের খেলা খেললেই জমে উঠবে আসল লড়াই৷

আসলে ইংল্যাণ্ড ভালভাবেই জানে যে টেস্টে শীর্ষে থাকা ভারতকে হারানো খুব সহজ কাজ নয়৷  লড়াই হবে সমানে-সমানে৷ নিজেদের দেশে খেলাটা সামান্য অ্যাডভানটেজ ইংল্যাণ্ডের কাছে৷ কিন্তু বিরাট কোহলি ও তাঁর সৈন্যরা মুখিয়ে আছে চ্যালেঞ্জ ননওয়ার জন্যে৷ এই ইংল্যাণ্ড সফরে ভারতও ম্যাচ বের করে নিয়েছে ইংল্যাণ্ডের কাছ থেকে৷ তাই বিদেশের মাঠে বিপক্ষকে হারানোর চ্যালেঞ্জটা ভারত ভালভাবেই উপভোগ করবে---এই আশা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের৷