১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী বীরভূম জেলার ইন্দাসে পদার্পণ করেছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷ প্রতিবছর এই পবিত্র দিনটিকে স্মরণ করে ইন্দাসসহ বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মার্গী ভাইবোনের সমবেত হয়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেন৷
এই বছরও ১৬ই ফেব্রুয়ারী ভোর ৪টা থেকে ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন সহ গ্রাম পরিক্রমা করে অনুষ্ঠানের শুরু হয়৷ গ্রাম পরিক্রমা করে মার্গী ভাইবোনেরা উপস্থিত হন গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত সত্যনারায়ণ ঘোষালের গৃহে৷ এই গৃহেই শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী উপবেশন করেন ও ধর্মমহাচক্রের পর বরাভয় মুদ্রায় উপস্থিত ভক্তগণকে আশীর্বাদ করেন৷ এরপর সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশিত হয় ও ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ---শ্রীমতি মনীষা গুহ, কোয়েল ঘোষাল, জয়শ্রী ব্যানার্জী, শ্রী সুব্রত গুহ, মানবেন্দ্র ঘোষাল প্রমুখ৷ এরপর কীর্ত্তনে অংশ গ্রহণ করেন লাভ পুর, বোলপুর, কীর্ণাহার,প্রচন্দপুর ,মুর্শীদাবাদের কান্দি প্রভৃতি স্থান থেকে আগত ভক্ত গন৷
যে স্থানটিতে বসে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ধর্মমহাচক্র করেছিলেন ও আশীর্বাদ দিয়েছিলেন সেই স্থানে একটি স্বেত পাথরের সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত করা হয়৷ উদ্বোধন করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ বোলপুর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সুব্রত ঘোষালের উদ্যোগে৷ এই সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত করা হয়৷ উপস্থিত ভক্তগণ সেই পবিত্র স্থানে মার্গগুরুর প্রতি সাষ্টাঙ্গ প্রনাম বিবেদন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী মানবেন্দ্র ঘোষাল৷ উপস্থিত ছিলেন আচার্য কর্মেশ্বানন্দ অবধূত, আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত, আচার্য দেবপমা নন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ তন্ময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ প্রজ্ঞাধীষা আচার্যা৷ এই উপলক্ষ্যে ১৫ই ফেব্রুয়ারী গ্রামের দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণ করেন পন্ডীচেরী থেকে আগত শ্রী সুপ্রকাশ গুহ, সর্বানী গুহ, কলিকাতার বিশিষ্টমার্গী আচার্য প্রদীপ দেব৷