ইন্দাশ, বীরভূম ঃ ১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী ভগবান শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী কৃপা করে বীরভূমের ইন্দাশে আগমণ করে ধর্মমহাচক্র করেন৷ তার এই শুভ আগমণ স্মরণ করে ইন্দাশে নানা প্রকার সেবা ও ভক্তিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী ইন্দাশে নবনির্মিত আনন্দমার্গ আশ্রমে একটি দাতব্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে গ্রামের দুঃস্থ মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঔষধের ব্যবস্থা করেন সাঁইথিয়া সরকারী হাাসপাতালের প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রদীপ গুহ৷
গ্রামবাসীগণ চিকিৎসা শিবির থেকে বিশেষ উপকৃত হন৷ পরের দিন ১৬ই ফেব্রুয়ারী ভোর ৪ ঘটিকায় ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ মহা নাম কীর্ত্তন সহযোগে সমগ্র ইন্দাশ গ্রামে প্রভাত ফেরী করেন গ্রামের ভক্তবৃন্দ৷ সকাল ৮ ঘটিকা -থেকে শুরু হয় প্রভাত সঙ্গীত অনুষ্ঠান৷ শ্রী মানবেন্দ্র ঘোষালের পরিচালনায় সুমধুর প্রভাত সঙ্গীতের মূর্ছনায় গ্রামের আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে৷ সকাল ৮-৩০ টা থেকে শুরু হয় ৩ঘন্টা ব্যাপী সুমধুর ‘বাবা নাম কেবলম্’’ নামসংকীর্ত্তন৷ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে তিনঘন্টা ব্যাপী মহা নাম ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তনে সমগ্র গ্রাম মুখরিত হয়ে ওঠে৷ সকাল সাড়ে ১১টায় কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ তাঁর মাধ্যমে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি জ্ঞানগর্ভ প্রবচন পাঠ করা হয়৷ এরপর আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত কীর্ত্তনে অনন্ত মহিমার কথা প্রাঞ্জলভাষায় ব্যাখ্যা করেন৷ তারপর ১৯৫৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী ইন্দাশে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ঐতিহাসিক পদার্পণ ও ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে আচার্য প্রদীপ দেব৷
সত্য নারায়ণ মহাশয়ের গৃহ প্রাঙ্গনের বাসস্থানে তারকব্রহ্ম আনন্দমূর্ত্তিজী উপবেশন করে ধর্ম মহাচক্রে বরাভয় মুদ্রায় উপস্থিত ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন৷ সেই স্থানের ইন্দাশের গ্রামে ভক্তগণ একটি সুন্দর স্মৃতিমন্দির গড়ে তুলেছেন ইন্দাশে আচার্য দেব নারায়ণের সুযোগ্য পুত্র শুব্রত ঘোষাল৷ সেই স্মৃতি মন্দিরে গিয়ে আনন্দমার্গীরা মার্গগুরুদেবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷
সবশেষে গ্রামের সবাই নারায়ণসেবায় অংশগ্রহণ করেন৷