ইন্টারনেটের পাতা জালে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচলেন আমেরিকার এক মহিলা৷ তিনি অ্যারিজোনার বাসিন্দা৷ সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানের উন্নতি সত্যি মিথ্যার ফারাক মুছে দিচ্ছে৷ এমনই আশঙ্কার কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ বেপরোয়া ভাবে যার মুনাফা লুটছে সাইবার-অপরাধীরা৷
একটি ছোট্ট ঘটনা৷ এক আমেরিকান মহিলার কাছে ফোন আসে৷ ওপারে মেয়ের গলা৷ ফুঁপিয়ে কাঁদছে মেয়ে৷ তাকে অপহরণ করা হয়েছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা৷ এতটুকু সন্দেহ হয়েনি মহিলার৷ মেয়েকে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে তাদের দাবি মেনে নেন তিনি৷ কিন্তু পরে জানা যায়, এমন কিছুই হয়নি৷ ফোনের কন্ঠস্বরটি তাঁর মেয়ের ছিলই না৷ ‘এ আই ভয়েস ক্লোনিং টুল’ একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই অপরাধটি করেছিল অপহরণকারীরা৷
প্রতারিত মহিলা জানান--- ‘‘প্রথমে একটি ফোন আসে আর তাতে আমি একেবারে স্পষ্ট আমার মেয়ের কন্ঠস্বর শুনতে পাই সেখানে আমার মেয়ে বলছে ‘‘বাঁচাও মা, দয়া করে আমাকে বাঁচাও’’ ১৫ বছরের কিশোরী মেয়ের গলা শুনতে একটুও ভুল করিনি, এরপরে একটা ফোন আসে, তাতে আমার কাছে জানানো হয় আমার মেয়েকে ফেরৎ পেতে হলে আমাকে ১০ লক্ষ ডলার মুক্তিপণ দিতে হবে৷’’ তবে মহিলাকে ১০ লক্ষ ডলার দিতে হয়নি কারণ তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার মেয়েকে ফোন করে সমস্ত সত্যতা যাচাই করে নেন আর তাতেই ধরা পড়ে যে তাকে যে ফোনটা করা হয়েছিল তা আসলে ভুয়ো ফোন ছিল৷
ইন্টারনেটে কন্ঠস্বর চুরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে, বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে দিনের দিন এটা অভিশাপে পরিণত হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে৷ এটার থেকে সুবিধা যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমন মানুষ ঠকানোর আর একটা পথের দিশারী হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই নতুন প্রজন্ম৷