আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র ইটালির শাখার পক্ষ থেকে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে ইটালির ভেরোনা শহরে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এক মনোজ্ঞ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷
স্থানীয় আনন্দমার্গী ‘টারসিসিও বেনেট্রো’ (সংসৃকতে প্রদত্ত নাম তপন কুমার) ‘ভজরে ইষ্ট নাম’ এই প্রভাত সঙ্গীতটি গেয়ে ও পরে ইটালী ভাষায় এটি অনুবাদ করে শুণিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷
এরপর আনন্দমার্গের প্রচারক আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রভাত সঙ্গীত ও এর বিশেষত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ৷ তিনি বলেন শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী, যাঁরা লৌকিক নাম শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার, ৫০১৮ টি প্রভাত সঙ্গীত রচনা করেন ও নিজেই তাতে সুরারোপণ করেন৷ গভীর আধ্যাত্মিক ভাবের, সমাজ চেতনা মূলক, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গান,--- এমনিভাবে নানান ধরণের সঙ্গীত , বাংলা, ইংরেজী, হিন্দী, উর্দু প্রভৃতি ৮টি ভাষায় রচনা করেছেন৷
এরপর কলকাতা থেকে আগত প্রভাত সঙ্গীত শিল্পী রত্না সরকার বেশ কিছু প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ সঙ্গে সঙ্গে সেগুলির ইটালিতে অনুবাদ করেও শোনানো হয়৷ যাতে সবাই এর অপূর্বভাব গ্রহণ করতে পারে৷ শ্রীমতী রত্না সরকারের গাওয়া গানগুলির মধ্যে ছিল ‘প্রিয় আমার বন্ধু আমার’, ‘নয়ন মাঝারে রয়েছে’, ‘নয়নেরই তারা তুমি’, ‘এ গান আমার আলোর ঝর্ণাধারা’ প্রভৃতি৷ হলের সমস্ত স্রোতা শ্রীমতী রত্না সরকারের গাওয়া প্রভাত সঙ্গীতের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷
ইটালীর আর এক আনন্দমার্গী ‘গিয়োমো (সংস্কৃতে তার নাম--- গণেশ) ‘‘তুমি যে এসেছ আজ’’, ‘‘সকল মনের বীণা’’ ‘‘স্বপনে এসেছ আনন্দঘন তুমি’’ প্রভৃতি প্রভাত সঙ্গীত গেয়ে সকলকে আনন্দ দেন৷