ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মাঝপথেই দেশছাড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা চাইলে রাশিয়ায় গিয়ে তাঁদের পড়াশোনা শেষ করতে পারেন৷ ইউক্রেনে মেডিক্যাল পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এই প্রস্তাব দিল ক্রেমলিন৷ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ওলেপ অ্যাভডিভের মন্তব্য, ভারতীয় পড়ুয়াদের রাশিয়ায় স্বাগত জানানো হবে৷ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে সে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এদেশের অসংখ্য পড়ুয়া৷ তাঁদের মধ্যে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা রয়েছেন৷ যুদ্ধবিধবস্ত ইউক্রেন ছেড়ে অনেকেই দেশে ফিরে এসেছেন৷ ওলেগ জানিয়েছেন, ভারতীয়রা তাঁদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে রাশিয়াকে বেছে নিতে পারেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ায় গিয়ে তাঁদের মেডিক্যালের পড়াশোনা চালাতে পারেন৷ কারণ দু’দেশের (ইউক্রেন ও রাশিয়া) মেডিক্যালের পাঠ্যক্রম প্রায় একই রকম৷ রাশিয়ায় তাঁরা (ভারতীয় পড়ুয়ারা) স্বাগত৷’’ ওলেগের দাবি, ‘‘উচ্চশিক্ষার জন্য রাশিয়াকেই বেছে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা৷ ও এই প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে৷ স্কলারশিপের জন্যও রাশিয়ায় আবেদন করছেন বহু পড়ুয়া৷’’
বস্তুত, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণা পর থেকে সে দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন ভারতীয় নাগরিকেরা৷ তাঁদের মধ্যে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ভবিস্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে৷ কারণ, এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে৷ যদিও শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘স্বল্পমেধার’ মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পিছনের দরজা দিয়ে এ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢোকানো হবে না৷ যদিও ফাইনাল ইয়ারের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ‘‘যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া মেডিক্যালের শেষবর্ষে পাঠরত ছিলেন, কিন্তু কোভিড ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিদেশে মেডিক্যাল কোর্স ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ৩০ জুন বা তার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স সমাপ্তি শংসাপত্র পেতেন, তাঁরা ফরেন মেডিক্যাল গ্রাজুয়েট একজামিনেশন (এফএমজিই)-এ বসার অনুমতি পাবেন৷’’