বিশ্বকাপের সময় থেকে আলোচনায় ছিল আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মাতিনেস৷ এরপর বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন প্রথম সারির ক্লাবগুলির নজরে পড়েছেন মার্তিনেস, সকলেই তাকে দলে নিতে উৎসুক৷ অ্যাস্টন ভিলা কোচ উনাই এমেরির সঙ্গে সম্প্রতি মতবিরোধও হয় তার৷ এরপর থেকে মার্তিনেসের ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার জল্পনা চলছে৷
একাধিক বড় ক্লাব মোট অর্থের প্রস্তাব দিলেও অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার ইচ্ছা নেই মার্তিনেসের৷ সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন--- চাইলে এখন সহজেই ক্লাব পরিবর্তন করতে পারি৷ তবে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে আমরা ফুটবল জীবন বদলে গিয়েছে৷ অনেক সাফল্য পেয়েছি৷ সব সময় বলেছি, এই ক্লাবের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ৷ এই ক্লাবকে আমি ভালবাসি৷ আমার পরিবারও খুশি ক্লাব নিয়ে৷ আমার ছেলেও ফুটবল পাগল৷ ওর বয়স এখন ছয়ের কম৷ ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে খেলা শিখছে৷ সব মিলিয়ে এখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছি আমরা৷ আশা আরও অনেক বছর কাটাতে পারবো৷ এর থেকে সকলে অনুমান করে নিয়েছে যে অন্যান্য ক্লাবগুলির প্রস্তাবে তাকে আকৃষ্ট করেনি৷ তিনি ক্লাবকে বাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ কিছুদিন আগে আর্সেনালের কাছে বাজে গোল খাওয়ায় মার্তিনেসের সমালোচনা করেছিলেন অ্যাস্টন ভিলার কোচ এমেরি৷ তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন মার্তিনেস৷ সম্প্রতি ক্লাবের হয়ে ৯৯টি ম্যাচ খেলে ৩৩টি ম্যাচে গোল না খাওয়ার নজির গড়েছেন ৩০ বছরের মার্তিনেস৷ ভেঙেছেন মার্ক বসনিচ ও ব্রাড ফ্রিডেলের নজির৷ তাঁরা ১০০টি ম্যাচ খেলে ৩২টি ম্যাচে গোল খাননি৷ এ নিয়ে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘কোন ম্যাচ ৩-১ ব্যবধানে জিতেও বাড়ি ফিরে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না৷ শুধু মনে হয় কী করলে আরও ভাল ফল হতে পারত৷ গোল খেতে পছন্দ করি না৷ সব ম্যাচে লক্ষ্য থাকে, একটাও গোল না খাওয়ার৷