কৃষ্ণনগর নদীয়া ৫,৬,৭ই মার্চ ২০২১ মহা উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে শতাধিক আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যার উপস্থিতিতে কৃষ্ণনগর মোমিন পার্কে অবস্থিত জাগৃতিভবনে সাড়ম্বরে পালিত হল তিনদিনের ‘‘কৃষ্ণনগর ডিট্ লেবেল সেমিনার৷’’
গত ৫ই মার্চ ঘূর্ণী হালদার পাড়ার মোড়ে পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর বাসভবন ‘‘মধুপর্ণায়’’ ‘‘দধীচি দিবস’’ উপলক্ষ্যে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ অখণ্ড কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় ও ৫ই মার্চ দধীচি দিবসের ওপর আলোচনা করা হয়৷ গত ৬ই মার্চ কীর্ত্তন-মিলিত সাধনা-স্বাধ্যায়ের পর একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্মানীয় অতিথির আসন গ্রহণ করে পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও সেমিনারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ‘‘নোতুন পৃথিবীর’’ পত্রিকার সম্পাদক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷
‘‘আধ্যাত্মিক অনুশীলনই সূচ্যগ্র স্তরে পৌঁছোনোর পথ’’ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন---মানুষ পৃথিবীতে এসেছে ভক্তির পথ ধরে পরম পুরুষে মিশে যাওয়ার জন্যে,আর সেটাই তার শীর্ষস্থবিন্দু অর্থাৎ মানব মহিমার পরমপরিপূর্তি৷ এর জন্যে আধ্যাত্মিক প্রগতির পথে জ্ঞান-কর্ম-ভক্তি তিনটিরই প্রয়োজন.....৷ ‘‘অর্থনীতির চারটি ধারা’’ বিষয়েও তিনি মূল্যবান আলোচনা করেন৷
এছাড়া সেমিনারে ‘‘সামাজিক মনস্তত্ব’’ ও ‘‘স্বগত অভিভাবন ও পরগত অভিভাবন’’ বিষয় দুটির ওপর মূল্যবান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস মহিলা কল্যাণ বিভাগের সচিব-এর অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্য৷ কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত, প্রবীন আনন্দমার্গী ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, ও ডাঃ মনোরঞ্জন বিশ্বাসও সেমিনারে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন৷ সেমিনারে কীর্ত্তন পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দবিভূকণা আচার্যা, অনুপ্রিয়া দেব, মিঠু মুখার্জী, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত প্রমুখ৷
গত ৭ই মার্চ সকাল থেকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়৷ দিনের শেষে সাংঘটনিক আলোচনান্তে একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে সেমিনারে সমাপ্তি ঘোষণা করেন আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷