জাতীয় নাগরিক পঞ্জী উ ন্নীতকরণের নামে  বাঙালী নির্যাতনে বিচলিত রাষ্ট্রপতি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী উন্নীতকরণের নামে এখানকার বাঙালীদের ওপর নির্যাতন চলছে৷ এই মারাত্মক অভিযোগে বিচলিত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্যে অসমের স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷

রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে প্রেরিত এই গুরুত্বপূর্ণ চিঠিটি (পি-২এ-১০০৪৮০০০৭) এখন অসমের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দারুণ অস্বস্তিতে ফেলেছে৷

বলা বাহুল্য, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাতেই এই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী উন্নীতকরণের কাজ চলছে ও তাতে ইতোপূর্বেই অসমের ১ লক্ষ ৩৯ লক্ষের অধিক বাঙালীর নাগরিকত্ব হরণ করা হয়েছে৷ ‘হিউম্যান প্রোটেকশন এ্যাণ্ড এ্যাওয়ারনেস’ নামক এক সংস্থার কাছ থেকে এই মর্মে অভিযোগ পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি অসমের স্বরাষ্ট্র দফতরকে উক্ত চিঠি পাঠিয়েছেন৷

রাষ্ট্রপতি দফতর থেকে এই চিঠি পাঠানোর পরে অসমের স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের যুগ্মসচিব ভাস্কর পেগু রাজ্যের পুলিশ প্রধানকে এই বাঙালী নির্যাতনের বিষয়ে বিধিসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ রাজ্য পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল তাও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে৷

এই বাঙালী নির্যাতন যেহেতু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাতেই চলছে, তাই এই চিঠি যে সমস্যার সুরাহা করতে পারবে---সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷ বিশেষ করে অসমেও যখন বিজেপি শাসিত সরকার চলছে৷ তাহলেও এই চিঠির একটা গুরুত্ব তো আছেই৷

ইতোপূর্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনও অসমে ভাষাগত ও ধর্মমতগত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন৷

নেলিতে বাঙালী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সঙ্গে জড়িত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান এস আর দারাপুরিও সম্প্রতি অসম সফরে গিয়ে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গীর অভিযোগ এনেছেন৷

এমনকি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও বর্তমান অসম সরকার যে শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জী দিতে পারবে --- এ ব্যাপারে আশংকা প্রকাশ করেছেন৷