তরুণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখে সবকা বিকাশের বুলি৷ কিন্তু নির্বাচনী বণ্ডের মাধ্যমে পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাছ থেকে দু-হাত ভরে অর্থ নিচ্ছেন৷ পুঁজিপতিরা বিনা স্বার্থে কোথাও অর্থবিনিয়োগ করে না৷ পুঁজিপতিরা যখন রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দেয় তখন তার পূর্বশর্তই থাকে ক্ষমতায় এলে তাদের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দিতে হবে৷
শ্রী বিশ্বাস বলেন---আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী তহবিলে পুঁজিপতিরা অর্থ যোগাচ্ছে৷ আসলে সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট কেটে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে৷ বাজারে জীবনদায়ী ঔষধের মূল্য আকাশ ছোঁয়া৷ আর সমস্ত ঔষধ কোম্পানিগুলো একাধিক ইলেকটোরাল বণ্ড কিনেছে৷ যার সিংহ ভাগটা গেছে কেন্দ্রের শাসক দলের ঘরে৷ ঔষধের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে সেই টাকা তুলেছে কোম্পানিগুলো৷ নির্বাচনী বণ্ড বিশ্বের বৃহত্তম তোলাবাজি যাকে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে৷
শ্রী বিশ্বাস বলেন--- মোদিজীর মুখে সবকা বিকাশের কথা৷ কিন্তু গত দশ বছরে আর্থিক বৈষম্য ব্রিটিশরাজকে ছাড়িয়ে গেছে৷ হাতে গোনা কয়েকজন পুঁজিপতির সীমাহীন আর্থিক বিকাশ হয়েছে৷ গরীব মানুষের দুর্দশা মোদি আমলে আরও বেড়েছে৷ পুঁজিবাদের দাসত্ব করে সবার বিকাশ সম্ভব নয়৷ শ্রী বিশ্বাস উন্নয়ণের প্রসঙ্গে বলেন--- সবার আগে প্রত্যেক ব্যষ্টির জীবন ধারণের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তি করতে হবে৷ প্রতিটি মানুষের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাই---অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা, চিকিৎসা৷ প্রাউট প্রবক্তার কথায়---‘‘এগুলো প্রাথমিক প্রয়োজন৷ এই প্রয়োজন পূর্ত্তি না হলে কখনো সামগ্রিকভাবে মানুষ জাতির উন্নতি সম্ভব নয়৷’’
শ্রী বিশ্বাস বলেন--- শুধুমাত্র মানুষ নয়, প্রাউট প্রবক্তা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক বিকাশের কথা ভেবেই প্রাউট দর্শন তৈরী করেছেন৷ তৈরী করতে বাধ্য হয়েছে৷ সমাজ থেকে সমস্ত প্রকার ভেদ বিভেদ বিদ্বেষ দূর করতে হলে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বোঝা ছেড়ে ফেলতে হলে প্রতিটি মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজন পূর্ত্তির ব্যবস্থা করতেই হবে৷ তাই আজ প্রতিটি প্রাউটিষ্টদের প্রধান কর্তব্য মানবতার আর্থিক মুক্তির জন্যে সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া৷