কলকাতা, ১৮ই জুলাই ঃ আজ, ১৮ই জূলাই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বাঙলার স্বার্থবিরোধী ও জাতীয় সংহতি বিপন্নকারী ‘গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়্যাল এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর প্রতিবাদে সর্বত্র বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়৷
কলকাতার শ্যামবাজার মোড়ে মেট্রো ষ্টেশনের সামনে এদিন ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় অবিলম্বে দার্জিলিংয়ে জিটিএ বাতিলের দাবী করা হয়৷
প্রতিবাদ সভার শুরুতে ‘বাঙ্লা আমার দেশ, বাঙলাকে আমি ভালবাসি’ এই উদ্বোধনী সঙ্গীত গেয়ে সভার উদ্বোধন করেন সংঘমিত্রা রায়৷
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়, গোপাল রায়চউধুরী, হিতাংশু ব্যানার্জী, জয়ন্ত শীল, শ্রীমতী গোপা শীল, দীপঙ্কর মণ্ডল, জ্যোতিবিকাশ সিন্হা প্রমুখ৷
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, জিটিএ বাঙলার স্বার্থ বিরোধী, জাতীয় সংহতি বিপন্নকারী ও অ-সাংবিধানিক৷ তাঁরা বলেন, দার্জিলিং পশ্চিম বাঙলার অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ গোর্খারা এখানকার আদি বাসিন্দাই নয়৷ এরা নেপাল থেকে জীবিকা অর্জনের জন্যে এখানে এসেছে৷ ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল চুক্তি অনুসারে এঁরা ভারতে জীবিকা অর্জন করতে পারে কিন্তু নাগরিকত্বের অধিকার পাবে না৷ তা সত্ত্বেও এদের কেবল নাগরিকত্ব দেওয়াই নয়, এদের দাবীতে বাঙলাকে দ্বিধা বিভক্ত করে দার্জিলিংকে এদের হাতে তুলে দেওয়া সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, বাঙালী স্বার্থ বিরোধী ও স্পষ্টতই ভারতেরও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক৷ বাঙালীরা কোন মতেই আবার পশ্চিম বাঙলাকে এইভাবে দ্বিধাবিভক্ত হতে দিতে পারে না৷ ‘গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়্যাল এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন’ (জিটিএ) পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড তৈরীরই প্রথম ধাপ৷ তাই ‘আমরা বাঙালী’র নেতাদের দাবী বাঙালীর স্বার্থ বিরোধী এই জিটিএ-কে বাতিল করতেই হবে৷
এই প্রতিবাদ সভা সঞ্চালন করেন শ্রী উজ্জ্বল ঘোষ৷