ব্যালটে কোথাও তাঁদের নাম নেই, কিন্তু আমেরিকার মধ্যবর্তী ভোটে অগ্ণিপরীক্ষা তাঁদের দু’জনের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বাইডেনের নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাট দল আমেরিকার কংগ্রেসের দুই কক্ষে তাদের আসন ধরে রাখতে পারে কি না, মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তা নির্ধারিত হয়ে যাবে৷ অন্যদিকে, দু’বছর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের পর হতোদ্যম রিপাবলিকানদের কাছে এই নির্বাচন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই৷
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার ও ক্যাপিটাল হিলে হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া ট্রাম্পের কাছে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারে ধারাবাহিকভাবে হাজির ছিলেন তিনি৷ এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ট্রাম্পের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেত্রী রোনা ম্যাকড্যানিয়েলের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ভোট আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা নকশা মেনে চলে৷ যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, কংগ্রেস তাদের আসন কমে যায়৷ সেই হিসাবে রিপাবলিকান পার্টি কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ৷ যদি কোনও মধ্যবর্তী নির্বাচনে চেনা ছকের বাইরে দিয়ে, শাসকদলই কংগ্রেসে বেশি আসন জেতে, তা হলে তা প্রেসিডেন্টের সমর্থনে বিপুল গণভোট বলেই ধরা হয়৷ সম্ভবত, সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই এবার বিভিন্ন প্রদেশে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করেছেন বাইডেন৷