রাজনীতিতে তিনি ভদ্র ও নীতিবাদী বলে পরিচিত ছিলেন৷ কিন্তু বিহার নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় পরাজয়ের গন্ধ পেয়ে তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ও রাজনীতিতে তাঁর চেয়ে অনেক নবীন তেজস্বী যাদবের প্রতি অশালীন মন্তব্য নীতিশ কুমারের ভদ্রতার মুখোশ অনেকটাই খসে পড়ে৷ নির্বাচনের ফলাফলে পরিষ্কার বিহারের জনগণ নীতিশ কুমারের ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে৷ বিহার বিধানসভার ২৪২ টি আসনের মধ্যে নীতিশের ঝুলিতে মাত্র ৪৩টি৷ তার শরিক দল বিজেপির ঝুলিতে ৭৪টি আসন৷ তা সত্ত্বেও জনমত উপেক্ষা করে নীতিশ কুমার বিজেপির অনুগ্রহে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সীতে বসেছেন৷
বিজেপি নীতীশ কুমার কে হজম করতে বাধ্য হয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের ক্ষত এখনও জ্বল জ্বল করছে৷ নির্বাচনের পর শিবসেনা যেভাবে জোটসঙ্গী বিজেপি ছেড়ে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে সেই যন্ত্রনা বিজেপি এখনও ভুলতে পারেনি৷ নীতীশেরও সেই সম্ভাবনা আছে,কারণ আর.জে.ডি নীতীশের পুরোনো জোটসঙ্গী৷ সেই ভয়েই বিজেপি প্রথম থেকেই নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা বলে গেছে৷ নির্বাচনের রায় ঘোষনার পর সেই কথা রাখতে বিজেপিও বাধ্য হয়েছে৷ কারণ নীতীশ যদি বিজেপিকে ছেড়ে তার পুরনো জোটসঙ্গীর সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি বিহারের দেখা যেত৷ সেই সম্ভাবনার কথা ভেবেই বিজেপি নীতিশের থেকে প্রায় দ্বিগুন আসন পেয়েও নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করতে বাধ্য হয়েছে৷ তবে নীতীশের ঘাড়ে দু-জন উপমুখ্যমন্ত্রী চাপিয়ে দিয়েছে৷ এখন দেখার ভদ্রতা ও সততার মুখোশ খুলে কুর্সীতে বসলেও নীতিশ কুমার পাঁচ বছর থাকবেন, না-কি বিজেপির জোড়াফলায় বিদ্ধ হয়ে সরে যেতে বাধ্য হবেন৷