এমন একপেশে বাজেট!---সামনে বিহার ভোট তায় শরিকি জোট শাসন ক্ষমতায়৷ তাই পরণের পোষাক থেকে বাজেটের বরাদ্দ সবেতেই অর্থমন্ত্রী বিহারমুখী৷ ২০২৪শে ৪০০পারের স্বপ্ণপূরণ দূরে থাক একক গরিষ্ঠতাও জোটেনি বিজেপির কপালে৷ তাই পূর্বে নীতিশ কুমার, দক্ষিণে চন্দ্রবাবুকে তোষণ করে তৃতীয় দফায় সরকার চালাতে হচ্ছে মোদিকে৷ বাজেটে তাই শরিকদল শাসিত রাজ্যের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকবে জোট সরকারের এটা ভারতীয় রাজনীতিতে স্বাভাবিক হয়ে গেছে৷ কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন যেভাবে বিহারকে উজাড় করে দিলেন তা যেমন লজ্জার তেমনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো দুর্বল হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে৷ অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষনার অনেকটা সময় ব্যয় করেন বিহারকে নিয়ে৷ বিহারে তিনটি গ্রীনফিল্ড বিমান বন্দর, পাটনা আইটির সম্প্রসারণ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি,মাখনা চাষে জোর দিতে বোর্ড তৈরী সহ একগুচ্ছ প্রকল্প৷ রাজনীতিতে পাল্টি খাওয়া নীতিশ কুমার গয়ারামকেও ছাড়িয়ে গেছে৷ তাই নীতিশ কুমারের প্রতি বিশ্বাস রাখা মুশকিল এটা মোদি শাহ ভালোই বোঝেন৷ তাই এন.ডি.এ সরকারের প্রতি নীতিশের আস্থায় যাতে টোল না খায়, অর্থমন্ত্রীর বাজেটে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে৷ এছাড়া অর্থমন্ত্রীর বাজেটে বড় কোন চমক নেই, বরং হতাশা আছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস না থাকলেও আয়করের উর্দ্ধসীমা বাড়িয়ে ১২লক্ষ করে মধ্যবিত্তকে খুশী রাখার চেষ্টা আছে৷
বাঙলার প্রতিবঞ্চনা নিয়ে নতুন করে কিছু লেখার নেই৷ ১৯৪৭ সালের মধ্যরাতে নেহেরু যা শুরু করেছিলেন মোদি তাকেই অনুসরণ করে চলেছে৷ রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বর্তমান আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র বাজেটকে বিপর্যের বাজেট বলে উল্লেখ করেন৷ এই বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে৷ গত বাজেটে অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল ২কোটি ৯০লক্ষ চাকরির৷ কিন্তু একজনের কপালেও চাকরি জোটেনি৷ তাই এবার অর্থমন্ত্রীর বাজেটে কর্মসংস্থানের কোন প্রতিশ্রুতি নেই৷ অর্থমন্ত্রীর দেওয়া এবারের বাজেটের আশ্বাস নিয়ে আরও এক বছর কাটাতে হবে মধ্যবিত্তকে হেঁসেলের আগুন সামলাতে সামলাতে৷