ঝাড়খণ্ডের বৃহত্তম অংশ অখণ্ড বাঙলার ভূমি৷ ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্রদের সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাংলাভাষী৷ স্বাধীনতার পূর্বে পশ্চিম রাঢ় বাঙলার ওই অঞ্চলে কাজ-কর্ম লেখা-পড়া বাংলাতে হতো৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এই অঞ্চলকে বিহারের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়৷ স্বাধীনতার পর ক্রমশ বাংলা বন্ধ করলেও রেল স্টেশনগুলিতে বাংলায় লেখা থাকতো হিন্দি-ইংরাজির পাশে৷ কিন্তু সম্প্রতি রেল স্টেশনগুলির নামের ফলক থেকে বাংলা লেখা মুছে দেওয়া হচ্ছে৷ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার প্রধান শিবু সোরেন অভিযোগ করেন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঝাড়খণ্ডের রেল স্টেশন থেকে বাংলা নামের ফলক মুছে ফেলা হচ্ছে৷ তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এক চিঠিতে দাবী করেন--- অবিলম্বে ঝাড়খণ্ডের রেলস্টেশনগুলির নামে ফলকে বাংলা লেখা ফিরিয়ে আনতে হবে৷
শ্রীসোরেন তাঁর চিঠিতে স্বীকার করেন ঝাড়খণ্ড স্বাধীনতার আগে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ ঝাড়খণ্ডের রাঢ় অঞ্চলে বাঙালীদের বাস৷ তিনি রাঢ় অঞ্চলের সামাজিক অর্থনৈতিক বিকাশে ও সাংসৃকতিক উন্নয়নে বাংলার অবদান তুলে ধরেন তাঁর স্টেশনগুলিতে বাংলা লেখা ছিল৷ এই ভাবে রাতারাতি মুছে ফেলার প্রচেষ্টা খুবই নিন্দনীয়৷