পরিচয় ও প্রজাতি ঃ কামরাঙার আদি বাস হচ্ছে চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ কামরাঙা এদেশে এনেছিলেন ওলন্দাজরা৷ তারা চুঁচড়োয় তাঁদের কুঠিবাড়ীতে সেই গাছ লাগিয়েছিলেন৷ সেখান থেকে কামরাঙা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব ভারতে ও দক্ষিণ ভারতে৷ দীর্ঘকাল ভারতের আৰহাওয়ায় লালিতপালিত হওয়ায় কামরাঙার একটি প্রজাতিকে ভারতীয় ৰললেও ৰলতে পারি৷ পৃথিবীতে কামরাঙার কয়েকটি প্রজাতি থাকলেও মুখ্য প্রজাতি দু’টি৷ একটি হ’ল মোটামুটি রকমের মিষ্টি*, আরেকটিতে একটু টক ভাব থেকেই যায়৷ চীনে ও তাইল্যাণ্ডে দেখেছি সেখানকার কামরাঙার আকার ভারতীয় কামরাঙার চেয়ে দ্বিগুণের বেশী৷
নোড় ফল, যার আদিবাস পূর্ব ভারতে, এর সঙ্গে কামরাঙার কিছুটা মিল আছে৷ গুণের দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে নোড় ও কামরাঙ্গা প্রায় একই পর্যায়ভুক্ত৷
হজমে সহায়ক কামরাঙা ঃ কামরাঙা মুখে লালা আনে ও হজমে সাহায্য করে কামরাঙার অচার ও অম্বল দুই–ই হয়৷ কামরাঙার দোষ সম্বন্ধে লোকে বলে, কামরাঙা হাড়ে জ্বর টেনে আনে৷ অর্থাৎ জ্বর ছেড়ে যাবার পরে অল্প দিনের মধ্যে কামরাঙা খেলে হয়ত আবার জ্বর হতে পারে৷ তবে কথাটি সত্য নাও হতে পারে৷