গত ১৪ই জুন কলকাতায় নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই আলোচনাচক্রে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন,বাঙলায় রাজনৈতিক সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার কারণ,কেন্দ্রীত অর্থনীতি৷ তিনি বলেন, দেশীয় পুঁজিপতিরা স্বাধীনতার পর থেকেই সুচতুরভাবে বাঙলার ক্ষমতালোলুপ নেতাদের সাহায্যে ভ্রাতৃঘাতী রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে অবাধে বাঙলার সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছে৷ অপরদিকে অশ্লীল শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে৷ একদিকে অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক সংঘাত, সাংসৃকতিক অবদমন বাঙলাকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে৷
শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভাবে এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা যাবে না৷ পুঁজিবাদ নির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামোর খোলনলচে পাল্টে প্রাউটের পথে বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে৷ আর্থিক সংরচনা মজবুত করে জনগণের জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির পরেই বিপথগামী যুবসমাজকে সৎপথে ফেরানো সম্ভব হবে৷ আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন---বিকেন্দ্রিত অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে সমস্ত প্রকার সম্পদের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে৷ আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে বহিরাগত ও ভাসমান জনগোষ্ঠীর কোনরূপ হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা চলবে না৷ তিনি বলেন---স্বাধীনতার পর ৬৫ বছর কংগ্রেস কমিউনিষ্টরা বাঙলায় রাজত্ব করেছে৷ দিল্লীতেও ছিল তাদের বন্ধু সরকার৷ একই ডবল ইঞ্জিন সরকার মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পঞ্জাব, দক্ষিণ ভারতেও ছিল৷ ওইসব রাজ্যগুলো উন্নতি করলেও পশ্চিমবঙ্গ সবার ওপর থেকে আজ সবার নিচে নেমে এসেছে৷ বিধান রায় থেকে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অপদার্থতা ও দিল্লী তোষণ বাঙলার সর্বনাশ করে দিয়েছে৷ ৬৫ বছর কংগ্রেস কমিউনিষ্ট পরস্পরের সংঘর্ষে বাঙলায় ৫০ হাজারেরও বেশি যুবক খুন হয়েছে৷ ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে তারা উন্মাদ হয়ে গেছে৷ তাই তারা আজ ক্ষমতার লালসায় লালায়িত হয়ে জোটবদ্ধ হয়েছে৷ বাঙালী ও বাঙলাকে বাঁচাতে হলে এইসব রাজনৈতিক দলগুলোকে আঁস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে৷ বাঙালীকে নতুন পথের সন্ধান করতে হবে৷ ‘প্রাউট’ বাঙলার জনগণের সামনে সেই পথের একমাত্র দিশারী৷ যুবসমাজ ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতি ভুলে প্রাউটের পথে আসলে বাঙলা বাঁচবে, ভারত বাঁচবে, বিশ্ব বাঁচবে৷