গত ৮ই নবেম্বর বীরভূম জেলার নানুর ব্লকের কীর্ণাহারে মহাসমারোহে জগদ্গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পদার্পণ দিবস পালিত হ’ল৷ ১৯৫৯ সালের ৮ই নবেম্বর কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ‘বাবা’ কীর্ণাহারে ‘ধর্ম মহাচক্র’ অনুষ্ঠান করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে তিনি এখানে প্রথম পদার্পণ করেছিলেন৷
এই উপলক্ষ্যে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনন্দমার্গীরা কীর্ণাহারের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ( বিখ্যাত শোলাশিল্পী ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত) শ্রী অনন্ত মালাকারের গৃহ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ৷ প্রথমে মার্গগুরু রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর ৩ ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের অনুষ্ঠান হয়৷ এরপর আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত, শ্রী সনৎ দত্ত, শ্রী অনন্ত মালাকার প্রমুখ৷ ‘বাবা’ (শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী) সম্পর্কে, তাঁর প্রথম পদার্পণ দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷
আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত বলেন, শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী চাইতেন, প্রতিটি মানুষ জীবনের নূ্যনতম চাহিদাপূরণের গ্যারান্টী পাক , তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মানুষই মানসিক তথা আধ্যাত্মিক স্তরে এগিয়ে মানব জীবনকে সার্থক করে তুলুক৷ আর এই কারণে তিনি এক সর্বান্যুসূত আদর্শ দিয়েছেন৷ দিয়েছেন সহজযোগ ও ছিল যোগ, তার সঙ্গে দিয়েছেন সর্বাত্মক সমাজসেবার আদর্শ৷ তিনি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত যোগসাধনা ও সর্বাত্মক জগৎ কল্যাণের আদর্শের গ্রহণ করে প্রত্যেকের জীবনকে সার্থক করে তুলবার জন্যে সবাইকে আহ্বান জানান৷
অনুষ্ঠানের শেষে সবাই মিলিতভাবে প্রসাদ গ্রহণ করেন৷