কীর্ত্তন দিবসের পঞ্চাশবর্ষ পূর্তি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

‘‘ঊচ্চৈঃস্বরে পরমপুরুষের নামগান করাকে কীর্ত্তন বলা হয়৷’’ মানুষের জীবভাবকে পরমপুরুষের শাশ্বতভাবের  সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে একাকার করে দেওয়াই হলো মোহনবিজ্ঞান৷ কীর্ত্তন এই মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্গত৷ তাই পরমপুরুষের কাছে পৌঁছাবার সহজতম রাস্তা হলো কীর্ত্তন৷

১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর রাঁচীর কাছে আমঝোরিয়া ফরেষ্ট রেস্ট হাউসে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী সিদ্ধ অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্রসহ কীর্ত্তন প্রবর্ত্তন করেন৷ তারপর তাঁর বিভিন্ন প্রবচনে কীর্ত্তনের প্রয়োজন, তার প্রভাব ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন৷

প্রতিবছর ৮ই অক্টোবর আনন্দমার্গের বিশ্বের সমস্ত শাখা কীর্ত্তন দিবস পালন করে৷ এই বছর কীর্ত্তন দিবসের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হলো৷  এই উপলক্ষ্যে বিশ্বের সমস্ত ইয়ূনিটে বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালিত হয়৷ মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে আনন্দনগরে মার্গগুরুদেবের স্মৃতিসৌধে৷ সেখানে পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পঞ্চাশ ঘন্টা কীর্ত্তন হচ্ছে৷ শুরু হয়েছে ৮ই অক্টোবর সকাল ৯টায়৷ ১০ই অক্টোবর বেলা ১১টায় কীর্ত্তন শেষ হবে৷

কলিকাতাস্থিত তিলজলা আশ্রমে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিনঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মার্গগুরুদেবের আধ্যাত্মিক প্রসঙ্গে প্রবচন পাঠ করে শোনানো হয়৷ কীর্ত্তনের প্রভাব ও প্রয়োজন প্রসঙ্গে মনজ্ঞ আলোচনার পর অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷ অসম, ত্রিপুরা,ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে মার্গের প্রতিটি শাখার অগণিত ভক্ত ভক্তি-আপ্লুত হৃদয়ে পরমপুরুষের নাম গান করে, সিদ্ধ অষ্টাক্ষরী মহামন্ত্র---‘াা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন করে কীর্ত্তন দিবস পালন করে৷