গত ৫ই ডিসেম্বর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত বাঙলার মাটি, বাঙলার জল,পরিবেশিত হয়৷ গানটির শেষের দিকের দুটি পঙ্তিতে আছে ‘‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা’’ ও ‘‘বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন ও বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন,’’ কিন্তু শিল্পীরা বাঙালি শব্দটির পরিবর্তে বাঙলা শব্দ উচ্চারণ করেন, অর্থাৎ বাঙলার পণ, বাঙলার আশা.....৷
আমরা বাঙালির কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব শ্রীজয়ন্ত দাশ রবীন্দ্র সংগীতে এই শব্দ পরিবর্তনের তীব্র প্রতিবাদ জানান৷ তিনি বলেন---সম্প্রতি তথাকথিত কিছু নেতা নেত্রী ও শিল্পীরা ঔদ্ধত্যের সীমা ছাড়িয়ে মনীষীদের সৃষ্টিকে বিকৃত করছে৷ সম্প্রতি এক সুরকার নজরুলের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটির সুর বিকৃতি করেন৷ এবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে রবীন্দ্র সংগীতে শব্দ পরিবর্তন করে গাইলেন একদল শিল্পী৷ ওই শিল্পীদের মধ্য মনি হয়ে বসেছিলেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনিও তাদের সঙ্গে কন্ঠ মিলিয়ে গানটি গেয়েছেন৷ এর অর্থ এই শব্দ পরিবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন আছে অথবা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই হয়তো এই পরিবর্তন করা হয়েছে৷ শ্রী দাশ প্রশ্ণ তোলেন বিশ্বকবির গানের শব্দ পরিবর্তন করার বাঙালি শব্দকে বাঙলায় পরিবর্তন করার অধিকার একজন মুখ্যমন্ত্রী বা কিছু শিল্পীর থাকে কি! নাকি মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ণ দেখে রাজ্যে বসবাসকারী ভিনরাজ্যের অধিবাসীদের সন্তুষ্ট করতে বাঙালি শব্দটি ব্যবহার করতে ভয় পেয়েছেন? অথবা তিনি বাঙলা ও বাঙালী শব্দটির অর্থ পার্থক্য বোঝেন নি৷ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির আর এক সদস্য ছাত্র যুব নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস জানান--- আগামী ৮ই ডিসেম্বর হাজরায় ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে বিকেশ ৪টায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে৷