কলকাতা ঃ গত ৩রা জুলাই কলকাতার নেপাল ভবনে ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে নেপাল সরকারের ভারত বিরোধী কার্য্যের প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করা হয়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের কয়েকজন কর্মী ও নেতা৷ কিছু তরুণ কলেজের ছাত্র ও ছাত্রা ছিলেন৷ রাজ্য সরকারের পুলিশ বাহিনী তাঁদের গ্রেফ্তার করে করে লালবাজারে নিয়ে যান ও কয়েকঘন্টার পর মুক্তি দেন৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নেপালের নতুন মানচিত্রে ভারতের গুরুত্ব পূর্ণস্থান অন্তর্ভুক্ত করে নেপালের পার্র্লমেন্টে পাশ করিয়ে নিয়েছেন৷ তাছাড়া নেপালের পরমবন্ধু ভারতের সীমানায় অবস্থিত যে সব পোষ্ট স্থায়ীভাবে পোঁতা ছিল সেগুলির কয়েক শ উপড়ে দিয়ে নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে ভারতে নতুন সীমানা চিহ্ণিতকরন করেছে৷ ভারতের কোন প্রতিবাদ গ্রাহ্য করেনি ওলি সরকার৷ নেপালে ওলি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি ওলির ইস্তফা জোরদার করেছে৷ স্থগিত হয়ে গেছে নেপালের পার্র্লমেন্টের অধিবেশন৷
লক্ডাউনের মধ্যে আমরা বাঙালীর নেপাল ভবনে প্রতিবাদে বাঙলার জনগণ খুবই অনুপ্রাণিত৷ সকলের জানা আছে, যে সীমান্তে অবস্থিত পশ্চিমবাঙলার উত্তরে দার্জির্লিং জেলায় বহু বছর ধরে নেপালী চীনপন্থীরা যে পৃথক এলাকা গড়ার ষড়যন্ত্র করে আসছে আমরা বাঙালী দল দীর্ঘ ধরে শুধু প্রতিবাদ নয়, মহামান্য আদালতে একাধিক মামলা রুজু করেছে৷ বাম আমলে দার্জিলিং এতে যে আন্দোলন বিদেশী গোর্খাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি দান করা হয় গোর্খা নেতা সুবাস ঘিসিংকে৷ তার তীব্র প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র ‘আমরা বাঙালী’ দলের নেতারাই ও কলকাতার উচ্চ আদালতে মামলাও করে৷ তৎকালীন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দুর্বল নীতিই আজ ভারতে বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে৷