১৪ জন ভারতীয় ‘সাইবার ক্রীতদাস’কে প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করছে কম্বোডিয়া পুলিশ৷ যদিও এখনও দেশে ফিরতে পারেননি তাঁরা৷ ভারতে ফেরার জন্য সে দেশের ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন করেছেন৷ সবুজ সঙ্কেত মিললেই তাঁরা চলে আসবেন ভারতে৷ মাস কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে কম্বোডিয়াতে কাজ করতে যাওয়া পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয়৷ সম্প্রতি ১৪ জন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷
এই ১৪ জনের মধ্যে বেশির ভাগই উত্তরপ্রদেশে ও বিহারের বাসিন্দা৷ কম্বোডিয়ার স্থানীয় পুলিশ তাঁদের প্রতারকদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে৷ বর্তমানে তাঁরা রয়েছেন একটি এনজিওতে৷
কম্বোডিয়াতে প্রতারকদের জাল অনেক বিস্তৃত৷ মোটা বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কম্বোডিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ তার পর তাঁদের জোর করে সাইবার প্রতারণার কাজে নিযুক্ত করা হয়৷ সেই চক্র বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে আছে৷ তাদের কাজই হল বিভিন্ন দেশ থেকে লোক জোগাড় করে কম্বোডিয়ায় পাঠানো৷
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কম্বোডিয়ায় পৌঁছনো মাত্রই চাকরির খোঁজে আসা মানুষদের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পাসপোর্ট৷ তার পরই তাঁদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ করানো হয়৷ প্রতি দিন বেঁধে দেওয়া হয় কাজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা৷ সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারলে চলে অত্যাচার৷ ছুটি তো মেলেই না, উল্টে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ দিনে ১২ ঘণ্টা তো কাজ করতেই হয়, না হলে নিস্তার নেই৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বে৷ ভারতের গোয়েন্দারা খোঁজ নিতে শুরু করেন এ দেশে কোথায় কোথায় এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে৷ এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরেই আট জনকে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশার রৌরকেলার পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গত বছর ডিসেম্বরে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ এক অফিসার অভিযোগ করেন, তাঁর থেকে সাইবার প্রতারণা করে ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই এই চক্রের হদিস মিলেছে বলে দাবি পুলিশের৷