কোচবিহারে বরেন্দ্র সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৪ ও ২৫শে সেপ্ঢেম্বর কোচবিহার মাহেশ্বরী ভবনে অনুষ্টিত হলো দুদিন ব্যাপী বরেন্দ্র সম্মেলন৷ সম্মেলনের প্রথম দিনে ২৪শে সেপ্ঢেম্বর  সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিধিরা যোগদান করেন৷ দুপুর বেলা ১.৩০ মিনিটে ছাত্র, যুব, কর্ষক, শ্রমিক, বিদ্বজ্জন ও মহিলা সমাজের প্রতিনিধি নিজের নিজের দাবীর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন৷ মিছিল মাহেশ্বরী ভবন থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পরিক্রমা করে কাছাড়ি মোড় হয়ে গায়ত্রী দেবী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়৷ সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি  হন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ৷ এরপর বাঙলা বিভাজনের বিরুদ্ধে ও বরেন্দ্র ভূমির সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কাঁচামালের উপর ভিত্তি করে  কৃষি নির্ভর শিল্প গড়ে স্থানীয়ভাবে কৃষি, শিল্প ও বানিজ্যের সমন্বয়ে সার্বিক সমস্যা সমাধানের দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, সুনীতি রোডে৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্রভূমির আমরা বাঙালী দলের বিশিষ্ট নেতা নীরোদ অধিকারী, প্রধান অতিথির পদ্‌ অলঙ্কৃত করেন ‘আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহন অধিকারী৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চশাখা সচিব নরেশচন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় ছাত্র সচিব পার্থপ্রতিম রায়, সুবোধ  বর্মন, জেলা সচিব রতন জেলার প্রবীণ সদস্য প্রভাকর সাহা সহ অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ৷ বক্তাদের ভাষনে আসে স্বাধীনতার পর থেকে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের মাটি থেকে বাঙালীকে উৎখাত করার হীন ষড়যন্ত্র, বিদেশি গোর্র্খদের জন্যে গোর্র্খল্যাণ্ডের  দাবীকে উস্কানি দিয়ে পাহাড়কে অশান্ত করার সিপিএম তৃণমূল ও বিজেপির নোংরা রাজনীতি৷ আমরা বাঙালী দলের দাবী ইতিহাসকে বিকৃত করে শোষিত বঞ্চিত বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষকে বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলনে মদত দিয়ে ফের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র বাংলা বিভাজন নয়--- চাই সমস্ত বাঙালী অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে শোষণমুক্ত বাঙালীস্তান৷ তারা আরও বলেন বৃটিশদের মতো হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শোষকের দল একই কৌশলে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে৷ তাঁদের বক্তব্য কেন্দ্রীকরণ নয়--- অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় কাঁচামালের উপর ভিত্তি করে কৃষিভিত্তিক মাঝারি শিল্প গড়ে তুলতে হবে৷ শিল্পে উৎপাদিত পণ্যে স্থানীয় ভাবেই বাণিজ্য গড়ে উঠবে, এভাবেই কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকার সামাজিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে৷ কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণের বিরুদ্ধে সকলের জন্যে একই ধরণের অবৈতনিক শিক্ষা, শিক্ষাক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ স্থানীয় ভাবে কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি ও নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দানের কথা বলেন৷ বাঙালী মহিলা সমাজের শ্রীমতি কাননবালা গোস্বামী বাংলায় নারীদের উপর শোষণ বঞ্চনা অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন৷ তিনি বলেন বিজ্ঞাপনে অর্ধনগ্ণ নারীদেহ প্রদর্শন, খুন, ধর্ষণ, অত্যাচার ও অমানবিক পণপ্রণা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে৷