সকল গতিই সঙ্কোচ-বিকাশী৷ শক্তি সম্প্রয়োগের দ্বারা সঙ্কোচকে আরো সঙ্কুচিত করে দিলে পরবর্তী বিকাশে উল্লম্ফন দেখা দেয়৷ এই উল্লম্ফিত বিকাশের ফলে সৃষ্ট ক্রান্তিকে বিপ্লব লাই সঙ্গত৷ ঠিক তেমনি শক্তি সম্প্রয়োগের দ্বারা বিকাশকে দীর্ঘায়িত করে দিলে পরবর্তী সঙ্কোচে অধিক পরিমাণ ঝিমুনি দেখা দেয়৷
শক্তি সম্প্রয়োগের দ্বারা কোনো যুগকে পেছনের দিকে নিয়ে গেলে অর্থাৎ বৈশ্য যুগ থেকে বিপ্র যুগে বা বিপ্র যুগ থেকে ক্ষাত্র যুগে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে লতে পারি বিক্রান্তি! অনুরূপ ভাবে পশ্চাদ্দিকে লম্ফনকে লতে পারি প্রতিবিপ্লব৷ এই বিক্রান্তি বা প্রতিবিপ্রব দীর্ঘস্থায়ী হয় না৷
বর্তমান পৃথিবীতে দু-একটি অনগ্রসর দেশে আজও ক্ষাত্র যুগ বা বিপ্রযুগ চলছে৷ অধিকাংশ প্রাগ্রসর দেশে চলছে বৈশ্য যুগ৷ দু-একটি দেশে শূদ্র-অভ্যুত্থানের পর দেখা দিয়েছে নূতন ক্ষাত্রযুগ৷ কোথাও বা নূতন বিপ্রযুগের সূচনাও দেখা যাচ্ছে৷
[রেনেশাঁ ক্লার্ের স্থাপনাদিবস উপলক্ষ্যে ১৯৫৮ (ইং) সালের ২৬শে জানুয়ারী ত্রিমোহান (ভাগলপুর) যুবসম্মেলনে প্রদত্ত অভিভাষণ]