নয়া দিল্লি ঃ গত ৩০শে নভেম্বর দিল্লিতে এক লক্ষ কর্ষক রামপাল ময়দান থেকে পার্লামেণ্ট ষ্ট্রীট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়ে তাঁরা ঋণ মুকুব, ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রভৃতির দাবী জানান৷ কৃষিঋণ মুকুবেরও আবেদন জানিয়ে তারা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবী জানান৷ এদিন ভারতের দশটি রাজ্য থেকে ২০৮টি কর্ষক সংঘটন এই মিছিলে সামিল হয়৷
মূলতঃ অল ইণ্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষসমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে এই মিছিলের আয়োজন হয়৷ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কর্ষকরা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল৷ কর্ষক কূলের পক্ষ থেকে সারা ভারত কর্ষক সভার সভাপতি অশোক ধাওলে বলেন, গত ১০ বছরে প্রায় তিন লক্ষ কর্ষক আত্মহত্যা করেছেন৷ কর্ষকরা প্রচণ্ড ঋণভাবে জর্জরিত৷ সরকার যখন বড় বড় শিল্পপতিদের বিপুল পরিমাণ ঋণ মুকুব করে দিচ্ছেন তখন সাধারণ কর্ষকরা যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারা দেশের মানুষের পেটের অন্ন যোগান দেয়, তাদের ঋণমুকুব করছেন না কেন? তাঁর অভিযোগ কর্ষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পান না৷ উদাহরণস্বরূপ বলেন, মুগডালে চাষীরা পায় ৪৬ টাকা, অথচ ওই মুগ ডাল বাজারে কিনতে লাগে ১৮০ টাকা৷ অর্থাৎ ডালের দাম চার গুণেরও বেশী৷ উৎপাদিত টমাটোতে চাষীরা পান ৫ টাকা, বাজারে কিনতে লাগে ৩০ টাকা বা ৪০ টাকা৷ মাঝখান থেকে পুঁজিপতি ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ মুনাফা লুটে নিয়ে যাচ্ছে৷ কর্ষকসংঘটনের পক্ষ থেকে আরো দাবী করা হয়েছে, সরকারী কৃষি নীতিতে পরিবর্তন করা হোক, চাষীদের কথা চিন্তা করা হোক, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকরী করা হোক.....ইত্যাদি৷
এই আন্দোলনকে সমর্থন করে পার্লামেণ্ট ষ্ট্রীটের সভাকক্ষে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধী, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি ছাড়া শেখ আবদুল্লা, শারদ যাদব, অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ৷