মিরাটের কালিনা গ্রামের এক কৃষক পরিবারের ছেলে হলেন সৌরভ চৌধুরী, গঙ্গা-যমুনা অববাহিকায় তার পূর্বপুরুষদের হাতে থাকত লাঙ্গল৷ কিন্তু মাত্র ষোলো বছরের সৌরভের হাতে যে পিস্তল! তা দিয়ে একের পর এক লক্ষ্যভেদ করে যাচ্ছে৷
গত রবিবার, দিল্লির ড.কার্নিং সিংহ শুটিং রেঞ্জে৷ প্রথমবার বড়দের শুটিং বিশ্বকাপে নেমেই সোনা৷ একই সঙ্গে বিশ্বরেকর্ডও ৷ ঘটনাচক্রে, তার নিজের ইভেন্ট ১০ মিটার এয়ার পিস্তল জুনিয়র বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হন সৌরভ চৌধুরী৷
গত রবিবার দিল্লিতে চূড়ান্ত লড়াইটি হয়৷ মোট সাত জনের মধ্যে৷ প্রথম পাঁচ শটের প্রথম সিরিজ থেকে একবারে ট্রিগারে শেষ চাপ দেওয়া পর্যন্ত মিরাটের বিস্ময়-কিশোর কার্যত অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল৷ ইভেন্টের শেষে দেখা গেল, তার নামের পাশে ২৪৫.০ স্কোর৷ যা কিনা বিশ্ব শুটিংয়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া নোতুন নজির৷
এতটাই কর্তৃত্ব নিয়ে শেষ করল সৌরভ যে রুপো পাওয়া সার্বিয়ান দামির মিকেচের থেকে এগিয়ে থাকল ৫.৭ পয়েন্ট৷ স্বভাবতই পেয়ে গেল অলিম্পিক্স কোটাও৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে এত বড় সাফল্যের পরেও আপ্লুত নয় সৌরভ৷ ‘‘জানতাম অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে আছি৷ কিন্তু এটা নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷ একটাই লক্ষ্য ছিল, কোনও কিছু নিয়ে না ভেবে যেমন খেলছি তেমনগুলি চালিয়ে যাওয়, বলেছে ২০১৮-র এশিয়ান গেমসেও সেনাজয়ী সৌরভ৷
দর্শকেরা অভিনন্দনে ভরিয়ে দিলেন সৌরভকে৷ কিন্তু সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে বীর সাহামাল রাইফেল ক্লাবের অন্যতম সেরা ছাত্র৷ সৌরভের কথা, ‘‘এই অভিজ্ঞতাও নোতুন নয়৷ এর আগে বাইরেও দর্শকেরা একই রকম উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে৷ এমনকি ইভেন্ট চলার সময়ও৷ যেমন জাকার্তা এশিয়ান গেমসে৷ কিন্তু কখনও এটা নিয়েও মাথা ঘামাইনি৷ আমার কাছে সবার আগে একাগ্রতাই প্রিয়৷