কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের যৌথ উদ্যোগে উক্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে ‘বাংলা নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল৷ সকাল ৭টা -৩০মি. থেকে ১০-৩০মি পর্যন্ত তিনঘন্টা ব্যাপী মানব মুক্তির মহামন্ত্র অষ্টাক্ষরী সিদ্ধমন্ত্র ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’ অখণ্ড কীর্ত্তনানুষ্ঠান, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় এর মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষ হয়৷
দ্বিতীয় পর্যায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সুদৃশ্য মঞ্চে কৃষ্ণনগর স্পান্দনিক শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে আসন অলংকৃত করেন সভাপতি ---নদীয়া জেলার ভুক্তিপ্রধান ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, প্রধান অতিথি প্রবীন আনন্দমার্গী শ্রীগৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট অতিথি বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির ভাইস চেয়্যারম্যান সৌমিতা বিশ্বাস, অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা বিশেষ অতিথি কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্ত শুভানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি আবিশ্ব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে প্রণম্য, তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়৷ অতিথিবৃন্দকে পুষ্প স্তবকে বরণ করেন বিদ্যালয়ের ছাত্রাবৃন্দ
সমবেত প্রভাতসঙ্গীত ‘সবারে করি আহ্বান’ পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সৌমিতা বিশ্বাস, অনুপ্রিয়া দেব, আভা দেব, পূর্ণতা দেব প্রমুখ৷
স্বাগত ভাষনে সকলকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার জন্যে আহ্বান জানান৷ বিশিষ্ঠ অতিথি শ্রীমতি সৌমিতা বিশ্বাস৷ প্রধান অতিথির ভাষনে শ্রীগৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য মহান দার্শনিক ও প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার এর ‘‘বাংলার নদী সভ্যতা’’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ৷ বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা শিক্ষাব্রতী শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ‘‘বাংলার সভ্যতার ইতিহাস তথা বিশ্বসভ্যতার ভাণ্ডারে বাঙালী জনগোষ্ঠীর অবদান’ নিয়ে মূল্যবান আলোচনায় অংশগ্রহন করেন৷
অনুষ্ঠানে বিশ্ববন্দিত মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাতসঙ্গীত, প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, আবৃত্তি আনন্দবাণী পাঠ পরিবেশন করে স্পান্দনিকের শিল্পীবৃন্দ ও কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ শিশুসদনের ভাই-বোনেরা৷
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা দায়িত্ব নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দর ভেবে সমগ্র অনুষ্ঠানটি মঞ্চস্থ করেছেন৷
নদীয়া জেলা ভুক্তি কমিটির সদস্য সর্বশ্রী আনন্দ মণ্ডল, মনোরঞ্জন বিশ্বাস ও মনোতোষ মণ্ডল, মিলন ঘোষ প্রমুখের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সর্বতোভাবে সফল হয়৷ সাম্যগ্রিক পরিবেশনা দর্শক কর্তৃক ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে৷