প্রতি বছরের মত এ বছরও মহা সমারোহে ১২ই ফেব্রুয়ারি ২২ শনিবার নদীয়া জেলা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ মহিলা বিভাগ আয়োজিত জেলার সমস্ত আনন্দমার্গী দাদা-দিদি, ভাই-বোন সকলের আন্তরিক উৎসাহ উদ্দিপনায় ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ উদযাপিত হয়, কৃষ্ণনগর শহরের ঘূর্ণী শ্যাকরাপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে (মহিলা বিভাগ পরিচালিত) এই উপলক্ষ্যে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তি মহামন্ত্র অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অভিধ্যানা আচার্যা, অনুপ্রিয়া দেব, কৌশিক সরকার, তাপসী মুখোপাধ্যায়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, গুরুপূজা চরম নির্দেশ এর পরে স্বাধ্যায় করেন মার্গী বোন সুস্মিতা মণ্ডল৷ নীলকন্ঠ দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশুভানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সদস্য ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস নীলকন্ঠদিবস এর বিষয়ে ততকালীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি, সিবিআই ও কে জিবি-র ঘৃন্যতম ষড়যন্ত্রের ঐতিহাসিক কালো দিনগুলি কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে এ বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সদস্য গৌরাঙ্গ ভট্টচার্য আলোচনা করেন কেন আনন্দমার্গের ওপর এই ঘৃন্যতম আক্রমন৷ বার বার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের নির্মম দিনগুলির কথা তিনি তুলে ধরেছেন৷ এরপরেই কৃষ্ণনগর শহরের জনবহুল পথ ধর একটি বর্ণাঢ্য কীর্ত্তন পরিক্রমা হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে প্রায় ৪৫০জনকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷