নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর, নেদিয়ারপাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীনীহারনাথ চ্যাটার্জী দীর্ঘদিন রোগভোগের পর গত ১০ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাণাঘাট নার্সিংহোমে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে পরলোকগমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর৷ তিনি স্ত্রী, কন্যা, জামাতা, নাতি রেখে গেলেন৷ বহু শুভানুধ্যায়ী আত্মীয়স্বজন তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন৷ ১১ই অক্টোবর ২০১৯ তারিখে নবদ্বীপ শ্মশানে আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূতের পৌরোহিত্যে মিলিত সাধনার পরে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হয়৷
গত ১৬ই অক্টোবর বুধবার তাঁর নিজ বাসভবনে শতাধিক আনন্দমার্গের দাদা-দিদি, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে একটি সুন্দর পরিবেশে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিধি অনুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের শুরুতেই প্রভাত সঙ্গীত ও বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ওপর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গের বিশিষ্ট সন্ন্যাসী আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত৷ এরপর উপস্থিত সকলে অশ্রুসজল নয়ণে মাল্যদান করেন৷ স্মৃতিচারণ করেন গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য ও নীহারদার কন্যা মৌ চ্যাটার্জী৷ উপস্থিত সকলে এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ভূয়শী প্রশংসা করেন৷ প্রয়াত নীহারদা ছিলেন একজন ভক্ত মানুষ৷ সকলে তাঁর সহাস্য ব্যবহারে মুগ্ধ ছিলেন৷ মার্গের প্রচার কার্যে তিনি যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন ও বহু সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তিনি ভাল প্রভাত সঙ্গীত গাইতেন৷