গত ২১ জুন দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত জিভি বিড়লা স্কুলের শৌচালয় থেকে দশম শ্রেণীর কৃতী ছাত্রী কৃত্তিকা পালের রক্তাক্ত অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ জানা যায়,সে পলিথিন মুখে বেঁধে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছে৷
ওই ক্লাসের টপার কৃত্তিকা ইণ্ডিয়ান ষ্ট্যাটিষ্টিক্যাল ইন্সটিটিউট-এ ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷
গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে,অনেকদিন থেকে ইন্টারনেট ঘেঁটে কৃত্তিকা আত্মহত্যার এই কৌশল জেনেছে৷ তা না হলে পলিথিন মুখে বেঁধে সম্পূর্ণ নোতুন কায়দায় আত্মহত্যা সম্ভব ছিল না৷ কিছুদিন আগে নেটে গেম খেলে আত্মহত্যার জন্যে ছেলেমেয়েরা পাগল হয়ে উঠেছিল৷
এ তো ইন্টারনেট ব্যবহারের একটা দিক৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকেও গায়েব হওয়ার ঘটনার সঙ্গে আমরা পরিচিত হয়েছি৷
ইন্টারনেট মানুষের কাছে জ্ঞানের দরজা খুলে দিয়েছে ও নানান্ভাবে মানুষ নেটের মাধ্যমে তার আশা পূর্ণ করেছে৷
অর্থাৎ ইন্টারনেট আমাদের কাছে আশীর্বাদ ও অভিশাপ দুই-ই হয়ে উঠেছে৷ মানুষ যদি শুভভাবনা নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাহলে তার শুভ হবে, মনে যদি শুভভাবনা না থাকে, তাহলে নেট মানুষের সর্বনাশও করতে পারে৷ সাধারণভাবে জল যেমন নিম্নগামী, মানুষের মনও তেমনি নিম্নগামী৷
তাহলে উপায় কী? তাহলে কি ইন্টারনেট সাক্ষাৎ যন্ত্রদানব ফ্রাঙ্কেনষ্টাইন রূপে মানুষের জীবনে চরম অভিশাপই হয়ে দাঁড়াবে?
ইন্টারনেটের ধবংসকারী রূপ থেকে মানুষকে বাঁচতে হলে মনকে সবসময় শুভভাবনায় ভাবিত রাখতে হবে৷ একমাত্র ‘যোগ’ তা করতে পারে৷ বলাবাহুল্য, এব্যাপারে আধ্যাত্মিক ভাবনা বর্জিত আসন প্রাণায়াম মানুষকে বিন্দুমাত্র সাহায্য করতে পারবে না৷ একমাত্র অষ্টাঙ্গিক যোগ--- যা প্রকৃতপক্ষে সর্বপ্রকার ডগ্মামুক্ত ও সর্বমানবের কাছে গ্রহণযোগ্য --- তাই বিশ্বমানবতার নির্ভরযোগ্য আশ্রয়৷ যোগাভ্যাস মানুষের জীবনে হতাশা আসতে দেয় না, পরন্তু মনের মধ্যে প্রশান্তি ও কল্যাণ ভাবনাকে সদা জাগরুক রাখে৷