ক্ষমা

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

সামগ্রিক দৃষ্টির অভাবই অধিকাংশ অনর্থের মূল সৎ মানুষ দুলের ওপর করে চলেছে অত্যাচার-অবিচার৷ সবল মানব-গোষ্ঠী দুর্বল মানবগোষ্ঠীর ওপর করে চলেছে শোষণ৷ এ অবস্থায় সৎ মানুষ মাত্রেরই কর্তব্য অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা৷ নৈতিক উপদেশ কবে কাজ দেবে তার জন্য অনন্তকাল বসে থাকা চলে না৷ তাই সৎব্যষ্টিগণকেও সংঘবদ্ধ হতে হবে৷ দানবদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্যে প্রস্তুতিও চালিয়ে যেতে হবে৷৷ সামূহিক জীবনের ওপর অথবা কোনো মানব-গোষ্ঠীর ওপর যারা নির্যাতন চালায় তাদের ক্ষমা করা চলে না৷ সে ক্ষেত্রে ক্ষমা শুধু দুর্বলতাই নয়, তাতে অন্যায় প্রশ্রিত হয়---অন্যায়কারী বেপরোয়া হয়ে ওঠে৷ ব্যষ্টিগত জীবনে কোন নির্দোষ ব্যষ্টির ওপর অসাধুরা যদি জোর-জুলুম চালায় সেক্ষেত্রে ওই নির্দোষ ব্যষ্টি নিজের সহ্যশক্তি পরীক্ষা করবার জন্যে অথবা অন্য যে কোনো কারণে জুলুমবাজকে ইচ্ছা করলে ক্ষমা করলেও করতে পারে৷ কিন্তু ওই জুলুমবাজেরা যদি কোনো মানব-গোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার চালায় সে ক্ষেত্রে ওই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরূপে কোনো ব্যষ্টিবিশেষ অন্যায়কারীকে ক্ষমা করতে পারেন না, ক্ষমা কর্রার অধিকার তাঁর নেই৷ তিনি যদি নিজের অধিকার বহির্ভূত কাজ করেন সেক্ষেত্রে তিনি যাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারাই তাঁকে ধিক্কার দেবে৷ তাই বলতে হচ্ছে ক্ষমা ব্যষ্টিগত জীবনের সাধনা---সামূহিক জীবনের নয়৷

উৎস

আজকের সমস্যা বই থেকে