ক্ষুধার রাজ্যে ‘গুরুতর’ ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সরকার ও তার অনুগত গণমাধ্যম যতই  ‘আচ্ছে দিনের ’ প্রচার করুক বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও স্বেচ্ছসেবী সংস্থাগুলো সমীক্ষা- প্রতিবেদন ভারত সরকারের ব্যার্থতার ছবিটা স্পষ্ট করে তুলে সম্প্রতি ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্স’-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷ ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়৷ ক্ষুধা নিবারণে ভারতের অবস্থা খুবই দুর্দশাগ্রস্ত৷ যেসব দেশ ক্ষুধা নিবারণে  একেবারে নীচের সারীতে আছে ওই প্রতিবেদনে তাদেরকে ‘গুরুতর’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে৷ ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে৷

মোট ১০৭টি দেশকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেখানে ভারতের স্থান ৯৪৷ ওই ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে আরও দেখানো হয়েছে যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৩৭.৪ শতাংশের বৃদ্ধি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম৷ ১৭.৩ শতাংশ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম৷ দেশে শিশু মৃত্যুর হার ৩.৭ শতাংশ৷  ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ভারতের থেকে অবস্থা অনেক ভালো৷ বাংলাদেশ রয়েছে ৭৫তম স্থানে, মায়ানমার রয়েছে ৭৮তম স্থানে, নেপাল ৭৩তম স্থানে শ্রীলঙ্কা ৬৪তম স্থানে৷

‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাশ বলেন--- প্রধানমন্ত্রী ধনীদের চৌকিদারী করতে গিয়ে গরিবের দিকে নজর দেওয়ার সময় পায়নি৷ তাই মুখে আত্মনির্ভরতা বুলি আওড়ালেও  অন্নহীন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবার কোনো বাস্তব পরিকল্পনা এই সরকার এখনও পর্যন্ত নেয়নি৷ নোট বাতিল, জি.এস.টি,কৃষিআইন, শ্রম আইন, সবই পুঁজিপতিদের স্বার্থে ৷ করোনা ও লক ডাউনের যাঁতাকলে পড়ে সাধারণ মানুষ মরলেও প্রধানমন্ত্রী চৌকিদারী করে তার সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছেন৷ আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে পুঁজিপতির হাত ছেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রাউট দর্শন জানতে হবে৷ একমাত্র প্রাউটের পথেই আত্মনির্ভর ভারত গড়া সম্ভব৷