চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফিতে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতীয় ক্রিকেট শিবিরে অশান্তির কথা ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যত দিন যাচ্ছে নানা মহল থেকে নানারকম খবর শোণা যাচ্ছে৷ তবে খবর যাইহোক না কেন, এটা সত্যি যে দলের ক্যাপ্ঢেন ও কোচের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল তাতে ড্রেসিংরুমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিলই৷ হয়তো বা খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সেও তার ছাপ পড়েছে৷ ফলস্বরূপ পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফিতে ভারতের হার---এই ভারতীয় দলই লীগ ম্যাচে পাকিস্তানকে এমনভাবে হারিয়েছিল যাতে বোঝা গিয়েছিল যে ভারত ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগেই পাকিস্তানের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে, অনেক ব্যালান্সড্৷
তবুও ফাইনালে হার৷ কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেই বলছেন কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সম্পর্ক একটুও ভাল ছিল না৷ কোহলি নাকি অন্য খেলোয়াড়দের সামনেই কুম্বলেকে বলেছিলেন---আমাদের দলের কোনও খেলোয়াড়ই তোমাকে পছন্দ করে না৷ এতে ভীষণ অপমানিত হন কুম্বলে৷ বলা হচ্ছে এই কারণেই চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফির পরেই কুম্বলে নিজেই পদত্যাগ করলেন৷ আগামী ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ সফরে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর দলের সঙ্গে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন৷ এই সফরে এম.ভি শ্রীধরের তত্ত্বাবধানে বোর্ডের এক কর্তা দলের সঙ্গে যাবেন৷ বোর্ডের তরফ থেকে শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভি.ভি.এস লক্ষ্মণদের সাহায্য নেওয়া হবে নতুন কোচ নির্বাচনের জন্য৷ কিন্তু প্রশ্ণ ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই তিন খেলোয়াড় তো ক’দিন আগে কুম্বলেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের আগামী এক বছরের জন্যে বিরাটদের ‘হেডস্যার’ হয়ে থাকার কথা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে যে কোচকে হয়ত বা বাধ্য করা হ’ল কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্যে৷ কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে কি এটা খুবই দুঃখজনক৷ পরবর্তী কোচ-অধিনায়কের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকবে---যাতে ভারতীয় ক্রিকেটের মান বিশ্বের দরবারে আরও উঁচু স্থানে অধিষ্ঠিত হয়৷