লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে বীজন সেতুতে দধীচি দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৩০ শে এপ্রিল নিজস্বপ্রতিনিধিঃ     আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ সচিব আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধুত জানান করোণা পরিস্থিতি ও লকডাউনের  কারণেএবছরবিজন সেতুতে জনসমাগম করা সম্ভব হয়নি তবে লকডাউন এর বিধি নিষেধ মেনে তাঁরা পাঁচজন বিজন সেতুতে গিয়ে অমর দধীচিদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন।

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের শাসক সিপিএমের ঘাতক বাহিনীর হাতে বীজন সেতু ও বন্ডেল গেটে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী। সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।

     আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে প্রতি বছর এই দিন প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে ও মানব কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সপ্তদশ দধীচির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিজন সেতুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোণা সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে এবছর বীজন সেতুতে জনসমাগম করা সম্ভব নয়। তাই এই দিন সকাল ৯ টায় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে বীজন সেতুতে  উপস্থিত হয়ে সপ্তদশ দধীচির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, আচার্য ভবেশানন্দ অবধুত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত ও অবধুতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা ।    এদিন সকাল দশটায় ভিআইপি নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জাগৃতি ভবনে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অন্যান্য সন্ন্যাসী ও সকল কর্মীবৃন্দ মিলিত হয়ে সপ্তদশ দধীচির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রভাত সঙ্গীত,কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান শুরু হয়। দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য রবিশানন্দ অবধূত, আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত, আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত প্রমূখ। কবিতা পাঠ করে শোনান আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত। দধীচিদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত স্বরচিত সংগীত পরিবেশন করেন আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত।